Panchayat: এ কী কাণ্ড! দু’বছরও পূর্ণ হল না, তার আগেই উপপ্রধান বদলে গেল ভাঙড়ে
Panchayat: ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ খইরুল ইসলামের স্ত্রী ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে আসীন। অভিযোগ, বকলমে দুটি দফতরই চালান খইরুল। তবে কি আহসানের মত খইরুল এবার একটি পদে ইস্তফা দেবেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বড় অংশের মানুষ।

ভাঙড়: দু’বছরও পূর্ণ হল না। তার আগেই উপপ্রধান বদলে গেল ভাঙড় ১ ব্লকের প্রাণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে। তাতেই শোরগোল ভাঙড়ের ভাঙড়ের রাজনৈতিক আঙিনায়। এতদিন ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন বেবি বেগম। তিনি ভাঙড় ১ ব্লকের দাপুটে নেতা আহসান মোল্লার স্ত্রী। আহসান ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মধ্যক্ষও বটে। এদিকে পঞ্চায়েতের প্রধান বলছেন, আহসান নিজের দফতরের পাশাপাশি স্ত্রীর কাজকর্মও দেখাশোনা করতেন। উল্টে বেবি বেগম উপপ্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর খুব একটা পঞ্চায়েতে যেতেন না, সময় দিতেন না, তাতে পরিষেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের।
বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেন বেবি। তাঁর জায়গায় উপপ্রধান নির্বাচিত হন পুরনো সদস্য শামসুল আলম। শামসুল এর আগে ওই পঞ্চায়েতের পাঁচ বছরের প্রধান এবং ১০ বছরের উপপ্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। তবে প্রধান পদের কোনও পরিবর্তন হয়নি । অপর্না দাস পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবেই আগের মত কাজ করবেন।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় দপ্তরের কর্মধ্যক্ষ বাহারুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই রদবদল হয়। বাহারুল বলছেন, ভাঙড়বাসীর স্বার্থে এলাকার উন্নয়নে জোয়ার আনতেই এই রদবদল করা হল। উপপ্রধান নিজে থেকেই সরে গেলেন। যদিও চাপানউতোর চলছেই।
