নামখানা: খেল দেখিয়েছে দানা। ওড়িশা-বাংলার উপকূলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশি স্পিডে ছুটেছে দামাল ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু, বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ার পিছনে বারবার উঠে এসেছে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কথা। ম্যানগ্রোভের কৃপাতেই বিধ্বংসী ঝড়কে অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলে মত আবহাওয়াবিদ থেকে পরিবেশবিদদের বড় অংশের। এবার ভাইফোঁটা উপলক্ষে পৃথিবীর বৃহত্তম বাদাবনের ম্যানগ্রোভ রক্ষার বার্তা দিতে এগিয়ে এলেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকার গৃহবধূরা। ভাইফোঁটা দিতে এগিয়ে এলেন সুন্দরবনের বোনেরাও।
রবিবার সাতসকালেই নামখানার হরিপুর গ্রামের সুন্দরিকা নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভকে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ভাইফোঁটা পালন করলেন এলাকার বধূরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাঁরা দেখেছেন। যে বড় মাপের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী তাঁরা হচ্ছে তাতে তাঁদের বাঁচাতে পারে একমাত্র ম্যানগ্রোভই। কিন্তু যেভাবে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে ম্যানগ্রোভকে কাটা হচ্ছে তাতে আমরা আতঙ্কিত।
এদিন সকালে শাঁক বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিতে দিতে একযোগে মাঠের আলপথ পেরিয়ে চলে আসেন নদী পাড়ের ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে। প্রত্যেকের হাতে ছিল প্রদীপ, দুর্বা, চন্দন এবং সিঁদুর। একইসঙ্গে ভাইফোঁট দিলেন সুন্দরবনের পাশে থাকা একাধিক গ্রামের বোনেরাও। ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে ভাইফোঁটা দিয়ে আবৃত্তি করলেন তাঁদের স্বরচিত কবিতাও।