জয়নগর: প্রবল বর্ষায় পরপর দুর্ঘটনার খবর সামনে আসছে। কয়েকদিন আগেই বাগুইআটিতে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। আর এবার দুর্ঘটনা জয়নগরে। স্বামী বাড়ি ফেরার পর তাঁকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন স্ত্রী। একসঙ্গে খেতে বসেছিলেন পরিবারের সবাই। নিমেষেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল গৃহবধূর। কোনও রকমে বেঁচে গেলেন চার সন্তান।
রবিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর দু নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বেলেদুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব রঘুনাথপুর গ্রামে। রাতে খাওয়ার সময় হঠাৎই ভেঙে পড়ে নূরজামান জমাদারের বাড়ির মাটির দেওয়াল ও ছাদ। জমাদার দম্পতি সহ চার জন সন্তান চাপা পড়ে যান। বিকট সেই শব্দ শুনে স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উদ্ধার করা হয় ওই পরিবারের সদস্যদের।
চিকিৎসার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগরের নিমপীঠ শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে গৃহবধূ সাহানারা জমাদার সহ আরও দুই সন্তানের শারীরিক অবস্রথা অবনতি হতে থাকলে তাঁদের কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সাহানারা জমাদারের (৩২)। রাতেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে স্থানীয় বকুলতলা থানার পুলিশ।
সাহানারার স্বামী নূরজাহান জানান, সেদিন রাতে জ্বর থাকায় তাড়াতাড়িই খেতে দিয়ে বলেছিলেন সাহানারাকে। স্বামীকে খেতে দিয়ে নিজেও খেতে বসেন সাহানারা। হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়। তাঁদের গায়ের ওপর ভেঙে পড়ে দেওয়াল। দ্রুত পাশে থাকা দুই সন্তানকে বুকে টেনে নেন নূরজাহান। তাঁদের আঘাত অপেক্ষাকৃত কম লেগেছে। চার সন্তানই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুজনের আঘাত গুরুতর।