দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুরভোটের ঠিক একদিন আগে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল জয়নগর থানা চত্বর। নির্বিঘ্নে ভোট করানোর দাবি তুলে শনিবার জয়নগর থানায় স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন বিজেপি কর্মীরা। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বেধড়ক মারধর কার হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। দলের জেলা সভাপতিও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের দাবি, জয়নগর থানার আইসি ও কুলতলি থানার আইসি দু’জনে মিলে মারধর করেন। এরপরই জয়নগর থানার সামনে বিক্ষোভে বসেন বিজেপি কর্মীরা।
১৫২ বছরের পুরনো জয়নগর-মজিলপুর পুরসভা। এখানকার মোট ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ ওঠে, শুক্রবার রাতে পুরসভার ৭ নম্বর ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। বাইরে থেকে লোক এনে এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই শনিবার জয়নগর থানায় স্মারকলিপি দিতে যান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রবিবার যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই দাবি ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় গিয়েছিলেন তাঁরা। বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উৎপল নস্করের নেতৃত্বে জয়নগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা বেঁধে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই জেলা সভাপতি-সহ বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। জয়নগর জেলার সাংগঠনিক সভাপতি উৎপল নস্কর-সহ কয়েকজন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে নিমপীঠ শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চেয়েছি। প্রতিটা মানুষ যাতে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে, নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেই নিরাপত্তার দাবি নিয়েই এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনও কথাই শোনেনি।” যদিও পুলিশের দাবি কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই ভোটের আগেরদিন এভাবে স্মারকলিপি দিতে আসা এবং তা ঘিরে থানার সামনে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: বাম ছাত্র যুবদের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র পাঁচলা! আটক মীনাক্ষি, রক্তাক্ত পুলিশ কর্মীও