ভাঙড়: পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই দিকে দিকে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। রক্তারক্তি হয়েছে। মৃত্য়ু হয়েছে। শাসক-বিরোধী উভয় দলেরই রক্ত ঝড়েছে। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরও এই অশান্তি চলবে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, ভোটের পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে দেওয়ার জন্য। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশে শান্তি রক্ষার বার্তা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। বললেন, ‘দিনের শেষে আমরা সকলেই প্রতিবেশী, এটা মাথায় রেখে চলুন।’
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দিকে দিকে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর। সেই রক্তপাতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে নওশাদ বললেন, ‘আমরা চাই না, আর কোনও পরিবারের কোনও ভাইয়ের ক্ষতি হোক। যে রাজনৈতিক দলের লোকই হোক না কেন, দিনের শেষে তিনি একজন মানুষ।’ রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিরোধীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে, তার জন্য তৃণমূলের অন্দরে নিয়ন্ত্রণের অভাবকেই দায়ি করছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা তৃণমূলের নীচুতলার লোকেরা কেউ শুনছে না। নীচুতলার লোকেরা নিজেরা নিজেদের এলাকায় রাজা বলে মনে করছে।’ আইএসএফ বিধায়কের কথায়, গণনাপর্বে এক ‘অরাজকতা’ চলছে। মনোনয়নের সময় থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত যে ঘটনা ঘটছে, তার জন্য শাসক দলের উপর তলায় লাগামের অভাব রয়েছে বলেই মনে করছে তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফেও রক্তপাত নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজারা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বলেছিলেন, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূলের। যদিও কোনও মৃত্যুই কাম্য নয় বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। একইসঙ্গে বিরোধীদের হাতেই যে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে, সেই কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।