মগরাহাট: ভোটের দু’দিন আগে নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। দলের কর্মীদেরই বললেন, “চোর-ডাকাত-খুনি”। শুধু তাই নয়, প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন বিধায়ক।
মঙ্গলবার বিকেলে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের শিরাকোলে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে একটি সভায় উপস্থিত হন গিয়াসউদ্দিন। সেখানে নেতাদের চোর-ডাকাত-খুনিদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “যারা চোর-ডাকাত-তাদেরকে টিকিট দিয়েছে দল।” একই সঙ্গে বলেন যে, লক্ষ্মীকান্তপুরে এমন একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে যিনি তাঁর দুজন ছেলেকে খুন করেছে। গিয়াসউদ্দিনের কথায়, “বাড়ি ভাঙচুর, পুকুর লুট করা ব্যক্তিদেরও টিকিট দিয়েছে দল।”
এরপর দলীয় কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন যে এই সকল নেতাদের আগে কেউ চিনত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁকে চিনিয়েছে, তিনিও জনসামাজে এই সকল কর্মীদের চিনিয়েছেন। এখন তারাই লক্ষ-লক্ষ টাকা দুর্নীতি করে জমি জায়গা কিনেছে। গিয়াসউদ্দিনের দাবি, নতুন ছেলেদের সুবিধা দিতে হবে। যারা নতুন দল করছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও দলের বিরুদ্ধে রাগ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল এখন যারা মিটিং-মিছিলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা বিগত পাঁচ বছর ধরে দলের সঙ্গে যুক্তি ছিলেন না। পুলিসের খাতায় নাম রয়েছে তাঁদের। এমনকী দল ছাড়ার কথাও বলেন তিনি। জানান যে, তাঁর বয়স হয়েছে। শারীরিকভাবে অসুস্থ সেই কারণে দল থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছে।
বস্তুত, এর আগে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন তিওয়ারীও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। প্রার্থী তালিকা পছন্দ না হওয়ায় ফেসবুকে পোস্টও করেন তিনি। দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, নওদার বিধায়িকা শাহিনা মমতাজ বেগম, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রাজ্জাক ও সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।