বজবজ: লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত তাঁর। আশপাশের সবাই সে কথা জানতেন। তাই বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের ঘর থেকে শব্দ শুনতে পেলেও বাইরে বেরোননি কেউ। তবে রাতে এমন একটি ঘটনা ঘটে যাবে, সেটা বুঝতে পারেননি কেউ। বজবজের যৌনপল্লীর ঘটনা।
ওই যৌনপল্লীর স্থায়ী বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক যৌনকর্মীর ঘরে যান তাঁর লিভ ইন পার্টনার। বেশ কিছুদিন ধরেই একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। ওই যুবকের সঙ্গে মনোমালিন্যও হত। রাতেও তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে বুঝতে পারেন সবাই।
এর কিছুক্ষণ পর, অর্থাৎ গভীর রাতে ওই যুবক হঠাৎ নিজেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। লোকজনকে ডাকেন ও বলেন, ‘ও গলায় দড়ি দিয়েছে।’ আর তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের দাবি ওই যুবক মারধরও করতেন ওই মহিলাকে। তাঁর হাতেই যৌনকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রাতেই ঘটনাস্থলে যায় বজবজ থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে বজবজ পুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই বজবজ থানার পুলিশ ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বজবজ থানার পুলিশ।
আনুমানিক ২২ বছর ধরে বজবজের এই নিষিদ্ধপল্লীতেই থাকতেন মৃত মহিলা। তবে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের লোক শুক্রবার সকালে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।