Awas Yojana: এই আরতি তো সেই ‘আরতি’ নন! আবাসের টাকা নিয়ে এবার বড় কেলেঙ্কারি
Awas Yojana: বঞ্চিত উপভোক্তা ইতিমধ্যেই নামখানার বিডিও, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।
রায়দিঘি: দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির পর এবার নামখানার মৌসুনিতেও একই অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রকৃত উপভোক্তার টাকা ঢুকল অন্যের অ্যাকাউন্টে! তিন ধাপে মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামের অন্য এক মহিলার বিরুদ্ধে। অথচ আবাস যোজনার পোর্টালে টাকা ঢোকার সব নথি রয়েছে বঞ্চিত উপভোক্তার নামে।
বঞ্চিত উপভোক্তার দাবি, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কাটমানি খেয়ে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিয়েছে। বঞ্চিত উপভোক্তা ইতিমধ্যেই নামখানার বিডিও, কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।
মৌসুনির বাঘডাঙার বাসিন্দা আরতি মাইতি। গত ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’য় আরতির নাম তালিকাভুক্ত হয়। অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তা এই আরতি মাইতি হলেও টাকা ঢুকেছে অন্য এক আরতি মাইতির অ্যাকাউন্টে। তাঁর নাম তালিকায় ছিল না বলে অভিযোগ। তৎকালীন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেই টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে।
যে আরতি মাইতি আবাসের টাকা পেয়েছেন তাঁর নাম তালিকায় ছিল না। তবে তিনি টাকা পেয়ে বাড়ি করেছেন। কিন্তু সরকারি পোর্টালে বঞ্চিত আরতি মাইতির সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও কী করে অন্য আরতি মাইতির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকল তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। আবাস যোজনার টাকা যিনি পেয়েছেন সেই আরতি মাইতি ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। স্থানীয় মৌসুনি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুল কাইউম খান ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। নামখানার বিডিও অমিত সাহু ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।