Sealdah Ranaghat Local: লাইনে নেমে পড়েছেন যাত্রীরা, একাধিক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেন, শিয়ালদার এই শাখায় সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ
Sealdah Ranaghat Local: শিয়ালদা মেইন লাইনের একাধিক প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্রেনেই যাত্রীরা বসে রয়েছেন। কেউ কেউ বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
নদিয়া: রানাঘাট লোকাল ট্রেন প্রত্যাহারের প্রতিবাদ। ব্যস্ত সময়ে রানাঘাট স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। তার জেরে শিয়ালদার মেইন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত। রানাঘাট লোকালের দাবিতে রানাঘাট স্টেশনে সকাল পৌনে ন’টা থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। জানা যাচ্ছে, সকাল ৮.৩৫ মিনিটের রানাঘাট লোকাল প্রত্যাহার করেছে রেল দফতর। সেই ট্রেন ফেরত দিতে হবে, সেই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। লাইনের ওপর বসে পড়ে, কলাপাতা ফেলে চলছে বিক্ষোভ। যার জেরে শিয়ালদা কৃষ্ণনগর, শিয়ালদা শান্তিপুর, শিয়ালদা গেঁদে, মুর্শিদাবাদের লালগোলা সমস্ত শাখার ট্রেন চলাচল বন্ধ।
শিয়ালদা মেইন লাইনের একাধিক প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। একে প্রচণ্ড গরম, ঘর্মাক্ত পরিবেশ, তার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গড়াচ্ছে না ট্রেনের চাকা। ব্যস্ত সময়ে চরম ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ যাত্রীদেরই একাংশ। কেউ কেউ বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অফিসযাত্রীদের অনেকে আবার বলছেন, “এই সময়ে এ সব কি না করলেই নয়? অফিস কি আর এসব বুঝবে?”
বুধবার সকাল থেকেই শিয়ালদার মেইন লাইনে ট্রেন দেরিতে চলছিল। এখন রীতিমতো স্তব্ধ। যাঁদের একমাত্র ভরসা ট্রেন, যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। রানাঘাটের নিত্যযাত্রীরা বলছেন, করোনা কালে ৮.৩৫ মিনিটের রানাঘাট লোকাল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে লালগোলা মেমু কোচ ট্রেনটি কিছু সময় পর রানাঘাট লোকাল হিসাবে ছাড়ে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ওই ট্রেন লালগোলা থেকে যখন আসে, তখন যাত্রী ভর্তি থাকেন। ফলে রানাঘাট বা অন্যান্য স্টেশন থেকে যাত্রীরা আর ওই ট্রেনে উঠতে পারেন না। পাশাপাশি ওই ট্রেনটি ভীষণ অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। বাথরুমের জলও নাকি কোচের ভিতর ঢুকে যায়। এমনই অভিযোগ যাত্রীদের। ফলে রানাঘাট-সহ অন্যান্য যাত্রীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাই পুনরায় ৮.৩৫ মিনিটের রানাঘাট লোকালের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ।
এক নিত্যযাত্রী বলেন, “আমরা চাইছে মেমোর পরিবর্তে রানাঘাট লোকালই দেওয়া হোক। কারণ এটা লালগোলা করে দেওয়ায় লালগোলার প্যাসেঞ্জার আর রানাঘাটের প্যাসেঞ্জার এক সঙ্গে উঠছে। ফলে ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা নেই। ট্রেন এত ময়লা থাকে, দুর্গন্ধ বের হতে থাকে।”
তবে ট্রেন অবরোধে সমস্যা পড়েছেন অন্যান্য যাত্রীরাও। এক যাত্রীর কথায়, “অনেকেই অফিস যাবেন, আটকে রয়েছেন। দরকারি কাজে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেখুন কী অবস্থা। লাইন ধরে হেঁটে যাওয়ার কোনও উপায় তো নেই বলুন। এখন হা পিত্যেস করে বসেই আছি।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেল আধিকারিক ও রেল পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।