Howrah: অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে
Howrah: যদিও ছাত্রীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ রুমা ভট্টাচার্যের দাবি, “কোনও ফি অনৈতিকভাবে নেওয়া হয়নি।” তবে কলেজে মারধর কিংবা ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তা তিনি এড়িয়ে যান।
হাওড়া: একদিকে যখন অনলাইন পরীক্ষার (Online Examination) দাবিতে রাজ্যের একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে (College-University) বড় আন্দোলনের রাস্তায় নেমেছেন পড়ুয়ারা, সেখানে এবার বাড়তি ফি নেওয়ার দাবিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে। যা নিয়ে এদিন দিনভর বন্ধ থাকল কলেজের পঠনপাঠন। একদল ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কলেজে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে। অবশেষে পুলিশ গিয়ে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সূত্রের খবর, বি কম অনার্সের ছাত্রীদের অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা কলেজে। অভিযোগ, ষষ্ঠ সেমেস্টারের ছাত্রীদের থেকে ল্যাব ফি বাবদ নশো টাকা চায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন কর্মাসের ছাত্রীরা। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। ছাত্রীদের অভিযোগ, ধর্না চলাকালীন সময়েই তাঁদের মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কলেজ স্টাফরা। এমনকী ছাত্রীর সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপরই উত্তেজিত ছাত্রীরা কলেজের বন্ধ থাকা অফিস ঘরে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাওড়া থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রীরা জানান, এককালীন যে ফি নেওয়া হয়েছিল তাতে ল্যাব ফি ছিল। এরপর আবার অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এর প্রতিবাদ করায় তাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের অধ্যক্ষ রুমা ভট্টাচার্যের দাবি, “কোনও ফি অনৈতিকভাবে নেওয়া হয়নি।” এমনকি কলেজে মারধর কিংবা ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তা তিনি এড়িয়ে যান। তাঁর সাফ দাবি, “এটা কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কলেজই তা দেখে নেবে।” প্রসঙ্গত, নানা কোর্সে প্রায়শই বাড়তি ফি নেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় রাজ্যের একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সম্প্রতি আর্টসের একাধিক শাখায় বাড়তি ফি নেওয়ার অভিযোগে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় ছাত্র আন্দোলন দেখা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজ্যের প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে হাওড়ার এই নামী কলেজের ঘটনায় নতুন করে চাপান-উতর তৈরি হয়েছে শিক্ষা মহলে।