বালুরঘাট: রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে থমকে রয়েছে বহু রেলের কাজ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি পার্লামেন্টে প্রশ্নের উত্তরে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন। রাজ্যের বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের উল্লেখ রয়েছে সে বিবৃতিতে। যার মধ্যে বালুরঘাট হিলি রেল সম্প্রসারণের কাজটিও রয়েছে। এখনো সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি জেলা প্রাশসন। সবে মাত্র অর্ধেক জমির অধিগ্রহণ করে তা রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি জমি অধিগ্রহণ করে তা খুব দ্রুত রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি নিজে ভুক্তভোগী। কেন্দ্র তো টাকা দিচ্ছে। অথচ রাজ্য এক টাকাও কাজে লাগাচ্ছে না। প্রকল্প ডুবে আছে বিশবাও জলে। ডিএম-কে বলতে বলতে পাগল হওয়ার জোগাড়। এমন ষাট-পঁয়ষট্টিটা রেলের প্রোজক্ট করতে দিচ্ছে না।”
জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে বালুরঘাট হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে বালুরঘাট হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের জন্য কাজ শুরু হয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত মোট ২৯.৭ কিলোমিটার রেললাইনের পথ তৈরি করা হবে। ধাপে ধাপে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় বালুরঘাট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। এই ১৪ কিলোমিটার রেলপথের জমি অধিগ্রহণ করে তা রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রেলকে জমি হস্তান্তর করার পরই বালুরঘাট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত কাজের তোড়জোড় শুরু করেছে রেল।
অপরদিকে, বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর উপরে ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত ওই পথে লাইন পাতার কাজ শুরু হবে। রেল সূত্রে খবর, জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই রেল জেলাকে টাকা দিয়ে দিয়েছে। সেই টাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এদিকে রেলের তরফেও ডাকা হয়েছে টেন্ডার। ৩১৫ কোটি টাকারও বেশি খরচে বালুরঘাট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত রেলপথ তৈরি হবে। ওই লাইনে সিগন্যাল, ইলেক্ট্রিফিকেশনের পাশাপাশি নানা কাজ হবে। তাই জেলের তরফেও বালুরঘাট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি খালি করার কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “এই জেলার সমস্যাটা আমি আগেও বলছি এখনও বলছি। রাজ্য যখন রেলের প্রয়োজন মতো জমিগুলো অধিগ্রহণের নোটিস জারি করেছিল ২০১৬ সালে। সেই সময় যা বাজারমূল্য ছিল, সেই টাকা কেন্দ্র দিয়েছে ২০২১ সালে। তখন স্থানীয় স্তরে জমির মূল্য বেড়েছে। এক্ষেত্রে দেখা গেল জমির মালিক হয় মারা গিয়েছে। নয়ত অন্য কেউ। তবে রাজ্য চেষ্টা করেনি তা বলা যায় না।”