উত্তর ২৪ পরগনা: গড়বেতা ফেরার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই পুরনো ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেখাচ্ছেন সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। ডিওয়াইএফআই ও এসএফআইয়ের যৌথ উদ্যোগে বিরাটির মহাজাতি ময়দানে একটি সভায় অংশ নেন এক সময়ের দাপুটে এই সিপিআইএম (CPIM) নেতা। সেখান থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য তিনি করেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগও তুলেছেন সুশান্ত।
তাঁর অভিযোগ, “জিজ্ঞাসাবাদের নামে আমায় হার্টফেল করিয়ে পাগল করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। এক অফিসার আমায় ফাঁকা সময়ে বলেন যে চক্রান্ত করা হয়েছে আমায় মেরে ফেলার, তিনি আমায় অসুস্থ হওয়ার ভান করতে বলেন। আমি করিনি।” সুশান্তর কথায়, “আমি আদর্শের জন্য রাজনীতি করেছি, ধান্দার জন্য রাজনীতি করিনি। আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। খাবার অভাব ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি রাজনীতি করতে আসি।”
আরও পড়ুন: ‘২০১৬-তেই বলেছিলাম…’, রোববারে বিস্ফোরণ ঘটালেন অভিষেক
তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলকেই একযোগে আক্রমণ করে সুশান্ত বলেন, “চোরেরা এখন ডাকাতের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এদের চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। একদিকে থাকবে বাম তথা লাল ঝান্ডা। অন্যদিকে গেরুয়া, বা যা খুশি ঝান্ডা থাকুক। আমরা বুঝে নেবো।” তিনি আরও বলেন, “১০ বছর আগে যারা সোনার বাংলা গড়বে বলেছিল তারা কিছু করতে পারেনি। যা আগে তৈরি হয়েছিল সেগুলোই নীল-সাদা রং করে নিজেদের বলে চালাচ্ছে এই সরকার। এই সরকারর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ৫০ লক্ষ লোকের চাকরি হবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। উনি বলেছিলেন আদর্শের বাংলা গড়ে তুলবেন, কিন্তু চোরদের বাংলা গড়ে উঠেছে।”
আরও পড়ুন: নেতাজীকে নিয়ে রাজনীতি করবই, কারোর বাপের হিম্মত থাকলে আটকাক: দিলীপ