কলকাতা: এই বছর পুরনো কাঠামোয় হতে চলেছে শেষ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরের বছরের পরীক্ষা হবে সেমেস্টার পদ্ধতিতে। আগামী ৩ মার্চ রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছেন ৫ লক্ষ ৮ হাজার পরীক্ষার্থী। তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্য়ার তুলনায় একাদশ শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্য়া ছিল অনেকটাই বেশি।
বুধবার সেই উপলক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন উচ্চ মাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সেই বৈঠক থেকে তিনি জানান, ২০২৩ সালে মাধ্য়মিকে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। সেই উত্তীর্ণদের মধ্য়ে থেকে একাদশের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৫ লক্ষ ৫৩ হাজারের মতো। কিন্তু চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন মাত্র ৫ লক্ষ ৮ হাজার পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ, রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষা দিচ্ছেন না ৪৫ হাজার পড়ুয়া। যা শঙ্কা জনক।
যেখানে ছাত্র-ছাত্রী নির্বিশেষে রাজ্য়ের পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষামুখী করতে একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকেই এক বছরে স্কুলছুট প্রায় ৪৫ হাজার পড়ুয়া। বছর কয়েক আগেই এই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ডিজিটাল পড়াশোনার সুবিধার্থে ট্যাব প্রকল্প নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও যেন ফিকে পড়ছে উদ্যোগ।
টিভি৯ বাংলার হাতে উঠে আসে পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গত ৪ বছরে একাদশ শ্রেণীতেই পড়াশোনা ছেড়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৩১ হাজার পড়ুয়া। অর্থাৎ গড়ে প্রতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন এক লক্ষ পড়ুয়া।
এবার প্রশ্ন তবে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে এই পড়ুয়ারা? যেখানে স্কুল থেকে কলেজ স্তর পর্যন্ত একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও কেন ফিকে পড়ছে পড়ুয়াদের আগ্রহ? এই প্রসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির যুক্তি, ‘পলিটেকনিক পড়ার দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে একাংশের পড়ুয়া।’