AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC leader warns: ‘তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হলে…’, ভাতারের সভা থেকে হুঁশিয়ারি শাসকদলের নেতার

East Burdwan News: বিধায়কের হুমকির পর এবার তৃণমূল ব্লক সভাপতির হুঁশিয়ারি। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী আক্রান্ত হলে এক ঘণ্টার মধ্যে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এবারও ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের সেই ভাতার ব্লক। তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে সিপিএম ও বিজেপি।

TMC leader warns: 'তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হলে...', ভাতারের সভা থেকে হুঁশিয়ারি শাসকদলের নেতার
সাহেবগঞ্জের সভা থেকে হুঁশিয়ারি ভাতারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশের।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2023 | 7:31 PM
Share

ভাতার: বিধায়কের (TMC MLA) হুমকির পর এবার তৃণমূল ব্লক সভাপতির হুঁশিয়ারি। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী আক্রান্ত হলে এক ঘণ্টার মধ্যে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। এবারও ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের সেই ভাতার (Bhatar) ব্লক।

শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল শেষে ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, “বদল নয়,এবার বদলা নেব।” সেই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। রবিবার দুপুরে ভাতারের সাহেবগঞ্জে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভা থেকেই আরও এক ধাপ এগিয়ে হুমকি দিলেন ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাসুদেব যশ। তাঁর হুমকি, “একটা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী যদি আক্রান্ত হয়,তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে জ্বালিয়ে দেব।”

মূলত, তিনদিন ধরে বর্ধমানের উপর দিয়ে যাচ্ছে সিপিএমের ইনসাফ যাত্রা। বাম আমলে তৎকালীন শাসকদলের হাতে বহু তৃণমূল কর্মী প্রহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এদিন সাহেবগঞ্জের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, “সহ্যের একটা সীমা আছে। আমি তিন-তিনবার এই সাহেবগঞ্জের বুকে মার খেয়েছি। আমিও কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছি। আমরা মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মেলামেশা করি ও করব। কিন্তু, আমি দেখতে পাচ্ছি এই সাহেবগঞ্জ অঞ্চলে ও ভাতার ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আমি মেনে নেব না। আমরা জানি, কীভাবে ঠান্ডা করতে হয়।” বিধায়কও পাশে রয়েছেন জানিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূল ব্লক সভাপতি আরও বলেন, “আমাদের বিধায়ক বলেছেন আমরা রাস্তায় আছি। ৩৪ বছর ধরে লড়াই করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। আমরা শান্তি চাই। কিন্তু কেউ অশান্তি করলে তার ওষুধ আমাদের জানা আছে। আমরা সেই ওষুধ প্রয়োগ করব।”

তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে সিপিএম ও বিজেপি। ভয় পেয়েই তৃণমূল নেতারা এই ধরনের মন্তব্য করছেন বলে দাবি পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিএম নেতা তথা রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিকের। গত ১২ বছর ধরে বাংলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “গত ১২ বছর ধরে তৃণমূল বাংলায় হিংসার রাজনীতি চালিয়ে আসছে। আমাদের ২০০-র বেশি কর্মী খুন হয়েছেন। প্রায় ১ লক্ষ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। কয়েক হাজার কর্মীকে ঘরছাড়া করা হয়েছিল। পরে জরিমানা আদায় করে তাঁদের ঘরে ঢুকিয়েছে। আজ যখন বাংলাজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, মানুষ ক্ষোভ, বিরক্তি, অনাস্থা প্রকাশ করছে, সিপিএমের সমাবেশে সমবেত হচ্ছে, তখন এসব কথা বলে মানুষকে ভয় পাওয়াচ্ছে। আসলে তারা ভয় পেয়েছে।”

সিপিএম নেতার সুরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি মুখপাত্র পুষ্পজিৎ সাঁই বলেন, “শাসকদলের কিছু লোক বাজার গরম করার জন্য এসব বলছে। বুধবার অমিত শাহের সভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে, সেটা বুঝতে পেরেই এসব বলছে। ওরা যত হুমকি দেবে তত সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হবে।”