পূর্ব মেদিনীপুর: বয়ালের বুথ থেকে বেরিয়ে এসে নন্দীগ্রামের ভোটে অশান্তির জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙুল তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকেও বেনজির ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন তিনি। এই বিধানসভা আসনে যে তৃণমূলই জয়লাভ করবেন, এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শোনায় মমতাকে। তবে এ দিনও ফের একবার নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে চাঁচাছোলা প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “এই ভোটে যিনি বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তিনি তাঁর চূড়ান্ত অসভ্যতামি, কাল রাত থেকে তাণ্ডব ও বিভিন্ন এলাকা গিয়ে গুণ্ডামি করা শুরু করেছেন। এমনকি আবু তাহের ও আব্দুল সামাদ-সহ যাদের গ্রেফতারিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে, তাদের বাড়ি গিয়েও রাতে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছি।” কিন্তু, কমিশন তৃণমূলের কোনও অভিযোগেই কর্ণপাত করছে না, এমনটাই দাবি মমতার। হাত জোড় করে তিনি বলেন, “আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু কমিশন শুধু বিজেপির কথা শুনছে।”
বয়ালের ৭ নম্বর বুথে গণ্ডগোলের অভিযোগ উঠলেও নন্দীগ্রামে তিনিই জিতবেন বলে দাবি করেছেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন, “আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। আমি চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। নন্দীগ্রামে আমিই জিতব মা-মাটি-মানুষের আর্শীবাদে।” এরপরই কেন্দ্রীয় আধাসেনার তাঁর অভিযোগ, “সকাল থেকে বন্দুক নিয়ে বসে রয়েছে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। প্রত্যেকটা মানুষ আমায় নালিশ করছে।”
আরও পড়ুন: ‘ভোটে অশান্তি হচ্ছে’, মমতার নালিশ পেতেই পালটা আশ্বাস ধনখড়ের
বয়ালের বুথ নিয়ে তাঁর দাবি, “এখানে ভোটটা চিটিংবাজি হয়েছে। আমি তিনদিন ধরে বলছি। এখানে ওরা (বিজেপি) অত্যাচার করেছে চূড়ান্ত।” কেন্দ্রীয় আধাসেনার দিকে আঙুল তুলে মমতা আরও বলেন, “আমি ওদের কোনও দোষ দেব না। ওরাও আমার বন্ধু। আমরা ওদের নিয়ে গর্বিত। আমি শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, উনি নিজে আধাসেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন শুধুমাত্র বিজেপির গুণ্ডাদের সাহায্য করার জন্য।”
গোটা নন্দীগ্রামে যারা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগই বহিরাগত বলে এ দিন দাবি করেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের কাছে একগুচ্ছ চিঠি দিলেও কোনও লাভ হয়নি। নির্বাচন পরিচালনকারী এই সংস্থা একপেশে ভাবে বিজেপিকেই সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের বয়ালে ভয়ঙ্কর উত্তেজনা, মমতাকে ঘিরে রাখা হল মানববন্ধন করে