উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুরের ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূল বিধায়ক মঙ্গলবার শীলভদ্র দত্ত (Silvadra Dutta) বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বাড়িতে গিয়েছেন বলে খবর। বিগত কয়েকদিন দল তৃণমূলের প্রতি অসন্তোষ ধরা পড়ছিল শীলভদ্রের গলায়। তাঁর সঙ্গে পিকে-র আই প্যাক সংস্থার সদস্যরা দেখা করতে গেলেও তাঁর মন গলেনি। সেই দিনই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দেখা করতে যান শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে। তবে তাঁর সঙ্গেও দেখা করেননি বিধায়ক। এদিকে মুকুল রায় শীলভদ্র দত্তর সঙ্গে বৈঠকে সিলমোহর দেননি। শীলভদ্রও এদিনের বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন।
মাসখানেক আগেই কার্যত বোমাটা ফাটিয়েছিলেন শীলভদ্র। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূলের হয়ে আর নির্বাচনে লড়বেন না তিনি। মুকুল রায় তৃণমূলে থাকার সময় দলে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে যাঁরা পরিচিত ছিলেন, শীলভদ্রও তাঁদের মধ্যেই অন্যতন। মুকুল তৃণমূল ছাড়ার পরও ব্যক্তিগত স্তরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক অটুট ছিল। এমনটাও বলে থাকেন অনেকে। মঙ্গলবার শীলভদ্র নিজে মুকুলের সঙ্গে ভাল সম্পর্কের কথা মেনে নিলেও বৈঠকের কথা উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমি অস্বীকার করছি না, আমি প্রায়ই মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করি। আমার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কিন্তু আজ আমি যাইনি। আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম মুকুল রায় আমায় সহযোগিতা করেছিল। মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে, মুকুল রায় আমার দাদার মতো।’
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষ ৪২০, দালাল: অনুব্রত মণ্ডল
সেই শীলভদ্রই গত কয়েকমাস যাবৎ খুশি নন তৃণমূলের কার্যকলাপে। রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনার মাঝেই তিনি তৃণমূলের হয়ে আর নির্বাচনের না লড়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর সদস্যরা। যা খুব একটা মনপুতঃ হয়নি শীলভদ্রবাবুর। তিনি বলেছিলেন, কর্পোরেট সংস্থার লোকেরা না এসে দলের লোকেরা এলে ভাল হত। সেই মত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সেদিন সন্ধেবেলায় দেখা করতে যান। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি শীলভদ্রবাবু। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তাঁর অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এই সবের মাঝে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করার জল্পনা তৈরি হওয়ায় ফের একবার চিন্তার ভাঁজ শাসকদলের কপালে।