বজবজ: ডাক পড়েছিল অনেক আগেই, অবশেষে কয়লাপাচার কাণ্ডে বুধবার নিজাম প্যালাসে সিবিআই দফতরে যান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা(Saokat Molla)। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে কয়েকজন কয়লা মাফিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই ড়াকা হয়েছিল অভিষেক ঘনিষ্ঠ এ বিধায়ককে। ওকত মোল্লার অফিসে প্রভাবশালী নেতার বৈঠকের কথাও শোনা যায়। কিন্তু কারা এ প্রভাবশালী নেতা? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এদিন দীর্ঘক্ষণ জেরার পরেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফের ডাক পড়তে পারে তাঁর, শোনা যাচ্ছে এমনটাই। এদিকে প্রিয় নেতা সিবিআই দফতরে যেতেই রাগে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন সওকত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সওকত গ্রেফতার হলে প্রকাশ্যেই এলাকার বিজেপি কর্মীদের ‘দেখে নেওয়ারও’ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, আসানসোল থেকে কয়লা পাচার হয়ে প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ইট ভাটায় যেত। সেখান থেকে লরিতে করে জেলায় সেই কয়লা পাঠানো হত। এ কাজেই হাত লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। এদিকে এর আগে ২৭ মে প্রথমবার হাজিরার জন্য নোটিস যায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সওকতের কাছে। যদিও তা এড়িয়ে গিয়ে ১৫ দিনের সময় চেয়ে নেন তিনি। অবশেষে তারপর থেকে ২০ দিনের মাথায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হন সওকত। কিন্তু সওকত গ্রেফতার হলেই সাতগাছিয়া বিধানসভার অঞ্চলের বিজেপি কর্মীদের ঘর ছড়া করার হুঁশিয়ারি দিলেন বজবজ ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা বজবজ ২ এর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েই তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শুধু ঘর ছাড়া করাই নয়, সওকতকে গ্রেফতার করলে বিজেপি কর্মীদের হাত পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দিতে দেখা যায় তাঁকে। বুচান বলেন, ”সিবিআই শুধু তাল খোঁজে কীভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপাকে ফেলা যায়। অভিষেক যখন রাজ্যের বাইর তখনই তাঁর স্ত্রী রুজিরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এ ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে রোখা যায় না। সাতগাছিয়ায় বিজেপি খুব একটা নেই, যদি আজ অ্যারেস্ট হয় যে কটা আছে তাদেরকেও ঘরে থাকতে দেব না”। এ প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের জেলা বিজেপি সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, ”বুচনের হুমকি থেকেই বোঝা যাচ্ছে চোরের মায়ের কত বড় গলা। আজ পুরো দলটাতেই নেতা থেকে কর্মী সকলেই গরু চোর, কয়লা চোর, বালি চোর। বেকার যুবক-যুবতিদের চাকরি চুরি থেকে সিন্ডেকেট সবেতেই এদের নাম জড়িয়েছে। এর চোরে চোরে সব মাসতুতো ভাই। এ নেতা সুস্থ আছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে”। প্রসঙ্গত, সওকত-ঘনিষ্ঠ যুব তৃণমূল নেতা সাদেক লস্করকে বৃহস্পতিবার তলব করেছে সিবিআই।