চন্দ্রকোনা: সাত সকালে মাঠে গিয়েই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পেলেন এলাকাবাসী। একটি পাইপের সঙ্গে বাঁধা ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে দুই নাবালিকার দেহ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ঘটনা। এলাকার ধামকুড়িয়া জঙ্গল থেকে শুক্রবার সকালে দুই নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একজন এলাকার বাসিন্দা হলেও অপরজনকে চিনতে পারছে না এলাকার বাসিন্দারা। তাঁর নাম পরিচয়ও জানা যায়নি। গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও এলাকাবাসীর সন্দেহ, কেউ বা কারা মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তাদের। কী কারণে এমনটা ঘটল, তা স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, মৃতদেহের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা মোবাইলে টুকরো। উদ্ধার হয়েছে একটি ছুরিও। এক ব্যক্তি বলেন, মোবাইলের সিমটাও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চুড়িদারের একটি ওড়নার মধ্যেই দুজনের গলা ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। সাতসকালে স্থানীয় মানুষজন দেখতে পেলে গ্রামের লোকজনকে খবর দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এর মধ্যে একজন চন্দ্রকোনা রামগড়ের বাসিন্দা সুমি মুর্মু। সুমির আনুমানিক বয়স ১৮ বছর। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
এলাকাবাসী বলছেন, এটা কোনও আত্মহত্যার ঘটনা নয়। কেউ বা কারা মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে দুই নাবালিকাকে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এক গ্রামবাসী বলেন, ‘এই এলাকায় পুলিশের কোনও নজর নেই। অনেক ধরনের কার্যকলাপ চলে। বাইরে থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হয়। এসব যাতে বন্ধ হয়, সেদিকে নজর রাখুক পুলিশ।’