বানারহাট: অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আলিপুরদুয়ারগামী ১৩১৪৯ আপ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস (Kanchankanya Express)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট স্টেশনে (Nanarhat Station) ঢোকার মুখে। আপ ট্রেন লাইনে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। লাইনের মধ্যে সিলিন্ডার দেখেই এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। তাতেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার কথা শোনা মাত্রই বানারহাট স্টেশনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এদিকে, লাইনে কাজ চলার খবর কেন গেল না চালকের কাছে? ওই লাইনে কী করে মিলল ট্রেন চলাচলের সবুজ সংকেত? তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের বানারহাট রেল স্টেশনে ঢোকার মুখে দেবপাড়া চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় ট্রেন লাইনের ওপর গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে লাইন মেরামতির কাজ করছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। ওই সময়, আচমকা আপ লাইনে চলে আসে আলিপুরদুয়ারগামী ১৩১৪৯ আপ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। দূর থেকে লাইনে কাজ চলার দৃশ্য দেখে এমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন চালক। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে যায় লাইনের ওপর থাকা গ্যাস সিলিন্ডার। তাতেই বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়।
সিলিন্ডারটি ফেটে গেলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্রেনযাত্রীরা। এদিকে আচমকা এ ঘটনা ঘটায় ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। অনেক যাত্রীকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়তে দেখা যায়। আতঙ্ক তৈরি হয় বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের মধ্যেও। অবশেষে সিগন্যালের সবুজ মিলতে ফের আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। সূত্রের খবর, ট্রেন লাইনে মেরামতির যে কাজ চলছিল তার খবর ছিল না বানারহাট স্টেশন মাস্টারের কাছে। ফলে তিনিও সতর্ক করতে পারেননি ট্রেন চালককে। তাতেই এ বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বানারহাট স্টেশনে ট্রেন আসার পর ট্রেনচালক বা গার্ড কেউই এই ঘটনার কোনও রিপোর্ট করেননি বলে দাবি করেছেন বানারহাট স্টেশন মাস্টার ধর্মেন্দ্র কুমার। তাতেও তৈরি হয়েছে চাপান-উতর।