কালিয়াগঞ্জ: “চা, ঝালমুড়ি, ঘুগনি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, বিক্রি তো হবেই, চাহিদাও খুব বাড়বে।” কয়েকদিন আগে খড়গপুরের চাকরির নিয়োগপত্র বণ্টন অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ পৌরসভার সামনে ঝালমুড়ির দোকান দিলেন বিজেপির (BJP) কাউন্সিলাররা। বুধবার সারাদিন ধরে দিব্যি চলল চা-ঝালমুড়ি বিক্রি। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সামনে বিজেপির এই ধরনের অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে চাঞ্চল্য।
বুধবার সকালে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সামনেটা আর পাঁচটা দিনের মত ছিল না। পৌরসভার কাজ শুরু হতে না হতেই দেখা যায় মূল ভবনের সামনে মুড়ি, বাটি, কেটলি নিয়ে হাজির বিজেপির কাউন্সিলাররা। যা দেখে আম জনতা কী হচ্ছে বুঝতে না পারলেও। ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে থাকে ছবিটা। আচমকাই ঝালমুড়ির সামগ্রী নিয়ে টুল চেয়ার পেতে বসে আসল বিক্রেতার মত ক্রেতাদের উদ্দেশ্য করে হাকডাক শুরু করেন তাঁরা। শুরু হল চা তৈরিও। এই কাণ্ড দেখে ততক্ষণে অবাক পথচারীরাও। অনেকেই গিয়ে বিজেপির ঝালমুড়ির দোকান থেকে চা আর টক-ঝাল মুড়ি কিনলেন।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রতিবাদী কাউন্সিলর বলেন, “বিজেপির সমস্ত কাউন্সিলররা আজ পৌরসভার সামনে ঝালমুড়ির দোকান দিয়েছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই আমরা এই দোকান দিয়েছি। উনি বাংলার যুবক-যুবতীদের কাজের যে পরামর্শ দিয়েছেন সে উপলক্ষেই আমাদের এই কর্মসূচি। ঝালমুড়ি বেচেই নাকি কোটি কোটি টাকা উপার্জন হয়। তার ভিত্তিতেই আজ আমাদের এই দোকান। আমরাও কোটি কোটি টাকা আয় করতে চাই। এখন আমাদের ট্রেনিং পিরিয়ড চলছে। আমরা ঝালমুড়ি ছাড়াও ঘুঘনি বিক্রিও করছি। চাও রয়েছে।” এদিকে বিজেপি কাউন্সিলরদের এই কান্ডে না চটে উল্টে তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রাম নিবাস সাহা। তিনি বলেন, “ঝালমুড়ি, চায়ের দোকান যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ। কারণ কোনও কাজই ছোট নয়। কোনও কাজই বড় নই। মন দিয়ে কাজ করা গেলে সব কাজে ফল পাওয়া যায়।”