রায়গঞ্জ: আবারও দুর্নীতি ইস্যুতে সিপিএম-এর বিক্ষোভ কর্মসূচি। এবারের স্থান উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। ‘চোর ধরো জেল ভরো’ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার উত্তেজনা ছড়াল সেখানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে ছুড়তে হয় জলকামান।
রাজ্যজুড়ে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে এসেছে বামফ্রন্ট। এর আগে বর্ধমান, ২রা সেপ্টেম্বর জাঠা, এরপর সিজিও অভিযান, লালবাজার অভিযান, পৌরসভা অভিযানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বামেরা। এরপর বৃহস্পতিবার আবারও পথে নামে সিপিএম।
সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকেই বামেরা পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মিছিল শুরু করে। এরপর রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় থেকে সেই মিছিল শুরু হয়ে ডিএম অফিস চত্বরে যখন ঢুকতে যায় তখন বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই সময় পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যায় মিছিলটি। তারপরই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। পুলিশ জলকামান ছোড়ে। জানা গিয়েছে, শুধু জলকামান নয়, পাশাপাশি লাঠিপেটাও করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কয়েকজন বামকর্মীদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আসলে পুলিশ ভয় পেয়েছে। ডিএ মামলায় রাজ্য হেরেছে। তাই যদি চাকরি চলে যায় সেই কারণে আজ লাঠিপেটা করেছে। আহত এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘পুলিশ মারল। আমরা প্রতিবাজ করছিলাম। সেই সময় লাঠিপেটা করেছে।আমার পায়ে আঘাত লেগেছে।’
কী কী দাবি বামেদের?
এ দিনের আন্দোলনে একশো দিনের কাজের দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা। এখনও উত্তেজনা চলেছে।