ইটাহার: আজ উত্তর দিনাজপুরে বনধ। যুব মোর্চার ডাকা ৮ ঘণ্টার বনধ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ইটাহারে বিজেপি নেতা মিঠুন ঘোষের খুনের ঘটনায় সোমবার এই বনধ ডেকেছিল যুব মোর্চা।
আজ ভোর ৬ থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত এই বনধ চলবে এমনটাই জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার( Sukanta Majumdar)। এখনও পর্যন্ত জেলায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত দোকান-পাট। রাস্তায় যানবাহনের দেখাও তেমন একটা মিলছে না। যদিও গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কখনও মুষলধারে কখনও বা মাঝারি। সেই কারণেও রাস্তায় জনমানুষের তেমন একটা দেখা মেলেনি। পাশাপাশি এখনও বনধ সমর্থনকারী কাউকেই রাস্তায় দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, রবিবার বাড়ির সামনেই বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই নেতাকে। তাঁর পেটে একাধিক গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিঠুন ঘোষ নামে বছর বত্রিশের ওই বিজেপি যুব নেতার বাড়ি ইটাহারের রাজগ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার বলেন, “আমাদের যুব মোর্চার জেলার সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষ। ইটাহার বিধানসভার রাজগ্রামে তার বাড়ি। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে মোটর বাইকটা রেখে বেরোয়। তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কাশেম আলি ওর উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। ওর পেটে গুলি করে। মিঠুন আমাদের মধ্যে আর নেই।”
তবে মিঠুন ঘোষের ওপর এর আগেও একবার হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এবিভিপির মনোনয়ন দাখিল করতে ইটাহার কলেজে যাওয়ার সময় আমাকে ও মিঠুন ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। সেসময় তাঁর পায়ে গুলি লাগে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের হাতে দুটি নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিষয়ে খোঁজ করা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রাত পেরলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে পরিবারের সদস্যদের মনে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়বে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল দক্ষিণ দিনাজপুরে মৌন মিছিল করে বিজেপি যুব মোর্চা। মৌন প্রতিবাদ মিছিলে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় কুমার বর্মণ, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত, তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরাই টুডু, গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়, প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।