উত্তর দিনাজপুর: দুয়ারের সরকারে গিয়ে ফর্ম পেলেন না গ্রামবাসীরা। আর তার জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের আগডিমটিখুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য। সরকারি আধিকারিক অবশ্য জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ফর্ম রয়েছে। কিছু বিভাগের নাম পরিষ্কার না থাকায় সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।
গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। একে রমজান মাস। অন্যদিকে সকাল থেকে প্রখর রোদ। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের আগডিমঠি খন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে অসংখ্য মানুষ ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। সকাল সাড়ে দশটায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলে বেলা সাড়ে এগারোটার নাগাদ সরকারি কর্মীরা ক্যাম্পে হাজির হন বলে অভিযোগ । ক্যাম্প চালু হলেও সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র(ফর্ম) পর্যাপ্ত না থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযোগ। দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু হলেও ফর্ম না থাকায় চরম হয়রানির স্বীকার হন বাসিন্দারা।
অভিযোগ, ক্যাম্পের সমস্ত আসবাবপত্র বারান্দা থেকে বাইরে ফেলে দেন আকবর আলিরা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইসলামপুর থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির বক্তব্য, “সকাল থেকে এখানে ফর্ম নেই। ১০-১২ টা ফর্ম। কয়েকটা ফর্ম এমন কয়েকজনের হাতে আছে, যারা লিখতেই পারে না। আমি সুপারভাইজারকে বলেছিলাম। কোন কাজ কোথায় হচ্ছে বোর্ড টাঙান, সেটাও হয়নি। কেউ বলছে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হবে না, রেশন কার্ডের কাজ হবে না। ২জন মাত্র কাজ করছেন। এতগুলো মানুষ সকাল থেকে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে, হয়রানি হতে হচ্ছে। জেরক্স করার পয়সাটাও তো যায়।”
কিন্তু এভাবে সরকারি কর্মসূচি, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো যায়? উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আকবর আলি স্বঘোষিত অঞ্চল সভাপতি। ও সেখানকার অঞ্চল সভাপতিই নন। এভাবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো যায় না। এটা ইলিগ্যাল। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”