উত্তর দিনাজপুর: রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে (Raiganj Medical College) রমরমা দালাল চক্র। অবাধে রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে চলছে টাকা আদায় করছে। এদিকে একদল যখন তোল নিতে ব্যস্ত তখন চলছে ভেতরে চলছে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক। টিভি নাইন বাংলার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করছে রোগী কল্যাণ সমিতি। অথচ, তারপরেও চলছে দালালদের রমরমা কারবার!
দালালদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র রায়গঞ্জের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এমার্জেন্সি বিভাগ থেকে ট্রলিতে করে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পৌঁছে দিতেও লাগছে টাকা! রোগীর আত্মীয়দের কারও কাছে চাওয়া হয়েছে ১০০ টাকা তো কারো কাছ থেকে আরও কয়েক’শো টাকা আদায় চলছে অবাধেই। দিনে দুপুরে রোগী পরিজনদের উপর এমন অন্যায় আবদার টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরার সামনে হল পর্দাফাঁস। এই দালালরাজের অভিযোগ তোলেন রোগী পরিজনেরা।
অথচ এসব দেখার কেউ নেই মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ! একাধিকবার অভিযোগ পেলেও যেন হুঁশ ফেরেনি কর্তৃপক্ষের। টিভি নাইন বাংলা প্রথম এবং একমাত্র এই খবর প্রকাশ্যে আনে।
এর পর অবশ্য নড়েচড়ে বসে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুরে এ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রায়গঞ্জ মেডিকেলের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা। সেই বৈঠকে মেডিকেল কলেজ চত্বরে এই দালাল রাজ ঠেকাতে পুলিশের সহযোগিতায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।
কিন্তু এই বৈঠক চলাকালীনই আবার দেখা গেল মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে দালালদের সক্রিয়তা। এদিনও এমার্জেন্সি থেকে ট্রলিতে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিয়ে রোগীর পরিজনেদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে চলেছে দালালেরা। যদিও সমস্ত বিষয়টিতেই তদন্ত চলছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এভাবে সরকারি হাসপাতালে কী ভাবে সক্রিয় এই দালালরাজ? কেন নেই কোনও নজরদারি? এ নিয়ে এখন মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় তাই দেখার।
এদিন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, প্রধানত হাসপাতালে ট্রলি টানতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এজেন্সির সুপারভাইজারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসপি-র সঙ্গেও কথা হয়েছে। পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এনআইসি-র এজেন্সি ও বাইরের লোকরা রয়েছে। বলেন, প্রধানত হাসপাতালে ট্রলি টানতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এজেন্সির সুপারভাইজারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এসপি-র সঙ্গেও কথা হয়েছে। পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এনআইসি-র এজেন্সি ও বাইরের লোকরা রয়েছে।
আরও পড়ুূন: Women and Child Missing: শীতবস্ত্র কিনতে বেরিয়ে রহস্যজনকভাবে উধাও বাড়ির দুই বউ! ২দিন কাটলেও মেলেনি খোঁজ