উত্তর দিনাজপুর: লরিতে সারি সারি বস্তা। প্রশ্ন করতে চালক জানিয়েছিলেন গম রয়েছে তাতে। দৃশ্যত তাই। কিন্তু তদন্তকারীদের নজর এড়ায়নি একটা বিষয়। বেশ কয়েকটা বস্তার আড়ালের ফাঁক দিয়েই দেখা গিয়েছিল একটা বোতলের ছিপি। ফের প্রশ্ন চালকে। এবার ঘাবড়ে যান চালক। কথাবার্তায় বেশ একটা জড়তা চলে আসে। তাতেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। সারি সারি গমের বস্তা সরাতেই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। লরিতে গমের বস্তার আড়ালে ফেনসিডিল পাচারের সময় আটক উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে। এসটিএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার ১১হাজার একশো বোতল ফেনসিডিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গমের বস্তা বোঝাই লরিটি উত্তর প্রদেশ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের দিকে যাচ্ছিল। শুক্রবার ঠিক সন্ধ্যা নাগাদ লরিটি করনদিঘি থানা পেরিয়ে করণদিঘি হাইস্কুলের সামনে যায়। তবে তদন্তকারীদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেজন্য আগে থেকেই ওঁত পেতে রাস্তায় ছিলেন তাঁরা। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে, তক্কেতক্ষে থাকা এসটিএফ ও করণদিঘি থানার পুলিশের যৌথ বাহিনীর ঘেরাটোপে আটক হয়ে যায়।
জানা যাচ্ছে, প্রথমে তদন্তকারীদের প্রশ্নে চালক জানিয়েছিলেন গমের বস্তা রয়েছে। কিন্তু যেহেতু আগে থেকেই খবর ছিল। তাই ভাল করেই গমের বস্তায় খেয়াল রাখছিলেন তদন্তকারীরা। একটি বোতল দেখতে পেয়েই গমের বস্তা নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশি চালাতেই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার হয় গমের বস্তার আড়ালে। ঘটনায় লরির চালক ও খালাসি আটক হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর হয়ে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচারের চক্রান্ত ছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সীমান্তে পাচারকারীরা মারাত্মকভাবে এই সময়টায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে নজরদারিও বাড়িয়েছে প্রশাসন। প্রত্যেকটা গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলছে তল্লাশি।