উত্তর দিনাজপুর: স্কুল প্রাঙ্গনে পা রাখতেই রীতিমতো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল শিক্ষকদের। এ কী পড়ে রয়েছে! স্কুলেই কিনা কন্ডোমের প্যাকেটের ছড়াছড়ি, পড়ে রয়েছে মদের বোতল! এ যেন চরম উৎশৃঙ্খলতার ছবি! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের একটি স্কুলের।
মঙ্গলবার সকালে আর পাঁচ দিনের মতোই স্কুলে আসেন শিক্ষকরা। তাঁরাই প্রথমে দেখতে পান, তাঁদের রীতি চক্ষু চড়কগাছ সকলের। কীভাবে স্কুলে এত কন্ডোম আর মদের বোতল এল? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। গ্রামবাসীদের একাংশ মনে করছেন, সন্ধ্যার পর স্কুলে অসাধু চক্রের কারবার চলছে।
স্কুলের বারান্দা, সামনের মাঠ, টিউবওয়েলের পাড় সহ একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রচুর কন্ডোম। স্কুলের পাশে ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে অনেক মদের বোতল।
এলাকাবাসীদের বক্তব্য, “এলাকার বা বাইরের যুবক, যুবতীরা রাতে স্কুল ক্যাম্পাস ফাঁকা পেয়ে সেখানে উৎশৃঙ্খল কাজকর্ম করছেন। আর এগুলো তারই প্রমাণ।” স্থানীয় ওষুধের দোকানের কেউ কিংবা কোনও এলাকাবাসী যদি এই কাজে জড়িয়ে থাকে, তাহলে নিজেরাই কড়া পদক্ষেপ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে স্কুল ক্যাম্পাসে এসবের আসর বসছে, তা নিয়েও সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন বলেন, “এটা একটা নক্কারজনক ঘটনা। কেউ বা কারা ওই স্কুলটিকে ও এলাকাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এর আগেও ওই স্কুল প্রাঙ্গনে মদের বতল উদ্ধার হয়েছিল। বিষয়টি চোপড়া থানায় জানানোর পর থেকেই সেখানে পুলিশের টহলদারি চলছে। তারপরেও এসব পাওয়া যাচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
স্কুলের তরফে এ বিষয়ে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল প্রাঙ্গন খতিয়ে দেখে চোপড়া থানার পুলিশ।