উত্তর দিনাজপুর: জেলাশাসকের দফতর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিশাল অশ্বত্থ গাছ। সেই গাছ প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনা ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছে রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতর লাগোয়া শিক্ষা দফতরের অফিসের সামনে অবৈধভাবে পুরনো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বনদফতরের আধিকারিকরা। সোমবারের এই ঘটনায় অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জ বন বিভাগের আধিকারিকরা।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের অফিসের সামনে বহু দিনের পুরনো অশ্বত্থ গাছটি কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বড় গাছ কাটতে গেলে বন দফতরের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বনদফতরের কাছে এই গাছ কাটার খবর নাকি ছিলই না। এমনকী সরকারি জমি হলেও নিয়মে কোনও তারতম্য হওয়ার কথা নয়।
অথচ কর্ণজোড়ায় কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই এই গাছ কাটা হয় বলে অভিযোগ। এমনও অভিযোগ, সমগ্রশিক্ষা মিশনের এক আধিকারিকের নির্দেশে এই গাছ কাটা হয়েছে। যদিও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বারবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। অনুপম দাস নামে সমগ্র শিক্ষা মিশনের ওই জেলা কোঅর্ডিনেটর বলেন, “এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না। যা কথা বলার স্যরের সঙ্গে বলতে হবে। কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে। আমার অনুরোধ এর বেশি আমাকে কিছু বলতে বলবেন না। আমি কিছু বলতে পারব না। তবে কেউ যদি আমার নাম নেয় তাতে আমার তো কিছু করার নেই। আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।”
অন্যদিকে বন দফতরের রায়গঞ্জ রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপকুমার চৌধুরী বলেন, “যার সম্পত্তি সে আটকাবে। এ নিয়ে আমি তো কিছু বলতে পারি না। আমার কাছে এরকম কোনও খবর আসেনি। নিশ্চয়ই খোঁজ নিয়ে দেখব।” তবে এই নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এর যথাযথ তদন্তেরও দাবি তোলেন এলাকার লোকজন।