উত্তর দিনাজপুর: একই রাত্রে দুই নাবালিকার বিয়ে আটকাল চাইল্ড লাইন ও পুলিশ প্রশাসন। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনা। রবিবার রাত্রিবেলা প্রথমে বরযাত্রী আসার আগের মূহুর্তে নাবালিকার বিয়ের বন্ধ করা হয়। এরপর আরও এক নাবালিকার বিয়ের পিঁড়িতেই বিয়ে বন্ধ করল চাইল্ড লাইন ও ব্লক প্রশাসন। এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ জুড়ে আলোড়ন ছড়ায়।
গোপন সূত্রে খরর, চাইল্ড লাইন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রথমে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন রঘুনাথপুরে বরযাত্রী আসার আগের মূহুর্তে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা সাহেবঘাটা হাই স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। অপরদিকে, কালিয়াগঞ্জের পুরিয়া মহেশপুর হাইস্কুলের এক ছাত্রীর বিয়ের পিঁড়িতে বিয়ে আটকে দিল চাইল্ড লাইন।
দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করা ওই নাবালিকার বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল পরিবার। টেলিফোনে এমনি খবর পেয়ে রবিবার রাতে হঠাৎ রাধিকাপুর পঞ্চায়েত ফরিদপুর এলাকায় ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ে চলাকালীন পুলিশ সহ হাজির হয় চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস। আইনের নিয়ম তুলে ধরে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে না দিতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন পুলিশকর্মী ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। আইনের নিয়ম জানার পর নাবালিকা কন্যার বিয়ে বন্ধ রাখতে সম্মত হয় দুই নাবালিকার অভিভাবকরা।
চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস জানান, ‘এ দিন টেলিফোনে দুই নাবালিকা পাত্রীর বিয়ের খবর আসে। সেই খবরের সূত্র ধরে এই বিয়ের উদ্যোগ বন্ধ করতে পাত্রীর বাড়িতে এসেছিলাম। অভিভাবক এবং গ্রামের মানুষকে বোঝানো হয় পাত্রীর বিয়ের বয়স পূর্ণ না হলে বিয়ে দেওয়া আইনত বৈধ নয়। পাশাপাশি বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝান হয় তাঁদের। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প এবং মেয়ের বিয়ের বয়স পূর্ণ হলে বিয়ের সময় রাজ্য সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। সবকিছু শোনার পর বিবাহের বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিভাবকরা।’