রায়গঞ্জ: কয়েকদিন আগেই রায়গঞ্জের (Raiganj) রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় নিজের ঘর থেকেই গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় সুপ্রিয়া দত্তর। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতের সঙ্গে মৃতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, আর তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে দাবি পুলিশের। মহিলার দু’টি মোবাইল ফোন এবং একটি মোটর বাইক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার ডিএসপি রিপন বল। বলেন, ‘খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ফালাকাটার একটি হোটেল থেকে আত্মগোপন করে থাকা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হবে। খুন হওয়া মহিলার দু’টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি একটি মোটর বাইকও উদ্ধার হয়েছে।’
অপরদিকে, সেদিনের ঘটনার পর তদন্তে উঠে আসে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যা মহিলার বাড়ির রাস্তা থেকে বেড়িয়ে প্রধান রাস্তার ধারে থাকা একটি মোটর বাইকের শো-রুমের সিসি ক্যামেরার। ওই বাড়ির গলিতে ঢুকতে ও বেড়াতে দেখা গিয়েছে এক ব্যাক্তিকে। ধৃত সেই ব্যক্তিকেই সেদিন সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অপরদিকে এই সম্পর্ক নিয়ে উভয়ের পরিবারেই বিবাদ বা সমস্যা চলছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত মৃতার মোবাইলগুলো কেন নিয়ে গেল? অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলিতে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ কী তথ্য ছিল? আর সেসবই কি লোপাটের জন্যেই এই মোবাইল ফোন নিয়েছিল অভিযুক্ত? সেসব প্রশ্ন উঠছে। আর সমস্তটাই খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রায়গঞ্জের (Raiganj) রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় নিজের ঘর থেকেই গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় সুপ্রিয়া দত্তর। যেদিন তিনি খুন হন সেদিন তাঁর বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে জানা গিয়েছিল। স্বামী গিয়েছিলেন অফিসে, ছেলে ছিল স্কুলে। বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। খাটের উপর গলা কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সুপ্রিয়া দেবীর দেহ। এদিকে এর আগে তাঁর ছেলে আগেই দাবি করেছিলেন এক ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পরিচয় ছিল সুপ্রিয়া দেবীর। এরপর গতকাল পুলিশ সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, ধৃতের নাম প্রবাল সরকার ওরফে ছোটো। বাড়ি কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্দায়। অভিযুক্ত প্রবাল নিজেও বিবাহিত বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে ছিল অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে সেই খবর যায় পুলিশের কাছে। তারপরই প্রবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)।