রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জে গৃহবধু খুনের ঘটনায় মৃতার ছেলের বক্তব্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মায়ের সঙ্গে এক ব্যাক্তির বন্ধুত্ব ছিল বলে দাবি ওই নাবালকের। তবে পুলিশের তরফে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তাহলে অবৈধ সম্পর্কের জেরেই কি এই খুন? উঠছে প্রশ্ন। অপরদিকে শনিবার রায়গঞ্জ মেডিকেলের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে সুপ্রিয়া দেবীর দেহ তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও রায়গঞ্জের সুপ্রিয়া দত্ত খুনে এখনও কেউ ধরা পড়েনি। তবে এই খুনের ঘটনায় উঠে আসছে এক যুবকের নাম। মৃতার ছেলে জানান ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর মায়ের দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল। এমনকী ওই যুবক এর আগে একবার তাঁদের বাড়িতেও এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন মৃতার ছেলে। তবে এই খুনের সঙ্গে সরাসরি ওই যুবক জড়িত, নাকি অন্য কেউ এই গৃহবধূকে খুন করেছে তা তদন্ত করে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এদিন মৃতার ছেলে বলেন, “আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। স্কুল থেকে এসে দেখি বাড়ির দরজা খোলা। কারও কোনও সাড়াশব্দ নেই। তারপর দেখি মা ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মায়ের এক বন্ধুকে চিনতাম। সে করছে কিনা জানিনা। আমি চাই যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তাঁর শাস্তি হোক।” তবে শহরের মধ্যে এই ধরনের খুনের ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবি করেছেন সুপ্রিয়া দেবীর প্রতিবেশীরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাড়িতে দিনভর একাই ছিলেন রায়গঞ্জের (Raiganj) রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্ত (৪১)। মাঝে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্কে। অফিসে ছিলেন স্বামী, স্কুলে গিয়েছিল ছেলে। কিন্তু, বাবা-ছেলে বাড়ি ফিরে চমকে যান। দেখেন ঘরে পরে রয়েছে সুপ্রিয়া দেবীর গলাকাটা দেহ। এদিকে এ খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কুকুর নিয়ে খুনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।