উত্তর দিনাজপুর: একুশের বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ফলপ্রকাশের পর ঘোড়া কেনাবেচা হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই শুক্রবার দিনহাটার সভা থেকে দলকে ২০০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উত্তরবঙ্গে বসে দলীয় সু্প্রিমো যেদিন এই কথা বলেছেন, সে দিনই ‘অন্য সুর’ গেয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রস সভাপতি তথা রায়গঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
এ দিন রীতিমতো চমকে দিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয়লাভ করলে পরবর্তী পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেবেন যে তিনি কোন দলে থাকবেন। দলে পদাধিকারী হওয়ার পাশাপাশি টিকিট পাওয়া সত্ত্বেও তাঁর এই মন্তব্য চমকপ্রদ বটে। তবে কানাইয়ালাল জানিয়েছেন, দলবদলের সিদ্ধান্ত তিনি রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গে কথা বলেই নেবেন।
মনোনয়ন পর্ব মিটে যাওয়ার পর শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, যদি রায়গঞ্জে জেতেন আর সরকার যদি অন্যদলের হয় তখন আপনি কী করবেন? জবাবে দ্বর্থ্যহীন ভাষায় কানাইয়ালাল বলেন, “এরকম পরিস্থিতি যদি আসে সেক্ষেত্রে রায়গঞ্জের মানুষের কথা শুনেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
আরও পড়ুন: মেধা এবং কৃতিত্বের মাপকাঠিতে সেরার শিরোপা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে, টুইট ‘গর্বিত’ মমতার
কানাইয়ালালের এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, “উনি যা বিবৃতি দিচ্ছেন তাতে তাঁর যে দল বদলের ইচ্ছে রয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাহলে মানুষ কেন ওনাকে ভোট দেবেন?”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কানাইয়ালাল। এলাকাবাসীর উন্নয়নের স্বার্থেই তিনি এই পদক্ষেপ করছেন বলে জানিয়েছিলেন সেই সময়। ফলে এ বারও যদি একই পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে তিনি যে ফের একই পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি করতে পারেন, এ দিন যেন সেই ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন।
আরও পড়ুন: ‘এভাবে চলতে থাকলে লকডাউন অবশ্যম্ভাবী’, জনগণের উদাসীনতাকে দুষলেন উদ্ধব