Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিককে ঘিরে ধরল পুলিশ, পথ আটকানোর কারণ?

Uttar Dinajpur: এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা। বাড়ির অদূরে একটি পুকুরের ধারে ওই কিশোরীর মৃতদেহ পড়েছিল।

Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিককে ঘিরে ধরল পুলিশ, পথ আটকানোর কারণ?
টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিককে আটকায় পুলিশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2023 | 12:33 PM

কালিয়াগঞ্জ: সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় রবিবার পরিদর্শনে যায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম। ছিলেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চৌধুরীও। আমাদের প্রতিনিধিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। তাঁকে এগোতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সরকারি পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কেন এভাবে বাধা দেওয়া হল? গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের পথ আটকাতেই কি এই ব্যবস্থা? পুলিশের যুক্তি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। প্রথমে গাড়ি আটকে দেওয়া হয় টিভি নাইন বাংলার। বলা হয় ৩ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। হেঁটেই যেতে রাজি হন প্রসেনজিৎ। এরপর কিছুটা আসতেই বলা হয় ১৪৪ ধারা আছে। কিছুটা বাদানুবাদের পর যদিও রাস্তা ছাড়ে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ১৪৪ ধারা জারির কোনও কাগজ দেখানো হয়নি সাংবাদিকদের।

সাধারণ মানুষই প্রশ্ন তুলছেন, কেন কালিয়াগঞ্জে টিভি নাইন বাংলাকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হল? টিভি নাইন বাংলার খবরে ভয় পেয়েই কি সাংবাদিককে আটকানোর চেষ্টা? কিসের জোরে সাংবাদিককে ধাক্কা পুলিশের? কিসের এত রাখঢাক, কি আড়ালের চেষ্টা?

এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। তিনি বলেন, “আমরা বাচ্চার মায়ের সঙ্গে, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বক্তব্য রেকর্ড করেছি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। তারপর সাংবাদিকদের জানাব। ওর মা আমাদের অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলব। তারপর কিছু বলা যাবে। তবে যে ভূমিকা বাচ্চার দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছি, বাচ্চার দেহ এরকম অসম্মানজনকভাবে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া! আমি তো মানতে পারব না বাচ্চাদের সঙ্গে পুলিশের সহযোগিতা রয়েছে।”

যদিও এই কেন্দ্রীয় দলের আসায় রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “গত ২ বছরে ১৫১টা কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে পাঠানো হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে। এগুলো আসলে বিজেপির এ টিম বি টিম সি টিম। এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এসেছিল। সদস্য ছিলেন গুজরাটের বিজেপি মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী, বিজেপির হয়ে ভোটে লড়া প্রার্থী। এই প্রিয়াঙ্ক কানুনগো তো আরএসএস সদস্য। তিনি মধ্য প্রদেশের যুব মোর্চার প্রাক্তন সম্পাদক। তিনি তো বিজেপির মুখপাত্রের মতোই কাজ করবেন।”

অন্যদিকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মহিলারা আক্রমণের শিকার। অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। আইনশৃঙ্খলা তলানিতে। এলাকায় পুলিশের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। আর রাজ্য প্রশাসন এবার যে অমানবিক চেহারা দেখিয়েছে সকলে দেখেছে। ওরা অনেক কিছুই বলবে।”