রায়গঞ্জ: রাস্তায় বেরিয়ে গিয়েছেন। অথচ মাথায় নেই হেলমেট। রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে ফাইন দিতে হয়। পকেট থেকে বেরিয়ে যায় কড়কড়ে কিছু টাকা। আসলে সবটুকুই করা হয় শুধুমাত্র আমাদের সুরক্ষার স্বার্থে।
জন সাধারণের সুরক্ষায় যথেষ্ঠ তৎপর প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর অন্য প্রত্যেকটি প্রজেক্টের মতো সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ প্রকল্পটিও যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু যখন কোনও প্রশাসনিক কর্তাই সেই নিয়ম না মেনে চলেন তখন কিন্তু প্রশ্ন উঠেই যায়।
সিট বেল্ট ব্যবহার করছেন না খোদ পুলিশ সুপার। আজ রায়গঞ্জে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের সচেতনতা প্রচারে আসেন তিনি। সঙ্গে আসেন জেলাশাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কিন্তু প্রত্যেক গাড়ির চালক, সামনের সিটে থাকা আরোহী ও পুলিশ সুপার কাউকেই কিন্তু সিট বেল্ট পড়তে দেখা গেল না।
এদিকে, সকলে মঞ্চে উঠে সচেতন করতে বার্তা দিলেন। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমকে ভুমিকা নিতে আবেদন করলেন। এদিকে, টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় বন্দী হল পুলিশেরই সেই চরম অসচেতনতার ছবি। যা নিয়ে প্রশ্ন করতেই গোল গোল ঘুরিয়ে জবাব পুলিশ সুপারের। তবে ধরা পড়ার পর অনুষ্ঠান শেষে সিট বেল্ট বাঁধলেন সবাই। পুলিশ সুপারকে সঙ্গী করে চলন্ত গাড়ির কাঁচ খুলে নিজে সিট বেল্ট বেধে সতর্ক থাকব বলে, মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলেন জেলা শাসক।
মঞ্চ বেঁধে চলছে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের প্রচার কর্মসুচী। উদাত্ত কন্ঠে সকলকে সচেতন হতে বার্তা দিলেন পুলিশ সুপার। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়নে মিডিয়ার ভুমিকাই গুরুত্বপূর্ণ বললেন পুলিশ সুপার।
কিন্তু সে কী? এই প্রচারে যারা এলেন সেইসব জেলার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের গাড়ির চালক বা তারা নিজেরাও কেউ সিট বেল্ট পড়েননি! অথচ কর্মসুচীতে পথ চলতি হেলমেট বিহীন মোটর বাইক চালকদের হেলমেট পড়িয়ে দিলেন পুলিশ সুপার, জেলা শাসক, পুলিশ কর্তারা।
কিন্তু নিজেদের সচেতনতা কোথায়? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই নিজের ভুল স্বীকারের বদলে ঘুরিয়ে জবাব দিয়ে মুখ রক্ষার চেষ্টা করলেন পুলিশ সুপার।
কিন্তু প্রশাসনের কথা মতই মিডিয়াই সচেতন করতে পারল তাদের। কর্মসুচী শেষে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের গাড়ির চালক ও চালকের পাশে থাকা আরোহী এমনকি জেলা শাসক-পুলিশ সুপারও সিটবেল্ট লাগালেন। যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির কাচ খুলে একগাল হেসে মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে “সতর্ক থাকব” বলে গেলেন খোদ জেলা শাসক।
আরও পড়ুন: Accident: ফের অসাবধানতার বলি, ট্রেনের চাকায় পিষে চলে গেল একটি প্রাণ