AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP: শ’য়ে শ’য়ে জলের পাউচ পড়ে, ‘ত্রাণ না দিয়ে এই চলছে’, অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

Sonamukhi: গত সপ্তাহে নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টি এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর, পাণ্ডে পাড়া-সহ বিভিন্ন গ্রামে। বন্যার জল ঢুকে কৃষিজমির পাশাপাশি ঘরবাড়িও ডুবেছে। এদিন বন্যা দুর্গতদের যথাযথভাবে ত্রাণ দেওয়ার দাবিতে সোনামুখী বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে যান সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি-সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা।

BJP: শ'য়ে শ'য়ে জলের পাউচ পড়ে, 'ত্রাণ না দিয়ে এই চলছে', অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের
এই বস্তাবন্দি ছিল জলের পাউচ। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2024 | 6:56 PM
Share

বাঁকুড়া: ত্রাণের জন্য আনা জলের পাউচ নোংরায় বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখার অভিযোগ তুলল বিজেপি। সোনামুখী বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনার মধ্যে পানীয় জলের হাজার হাজার পাউচ ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। বন্যা দুর্গতদের না দিয়ে প্রশাসনের গাফিলতিতে এভাবে জল নষ্ট করা হচ্ছে বলে দাবি তোলেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।

গত কয়েকদিনে দামোদরের জল বেড়ে প্লাবিত করেছে সোনামুখী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। গ্রামে গ্রামে হাহাকারের চিত্র। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, বন্যা দুর্গতদের জন্য আনা হাজার হাজার পরিশ্রুত পানীয় জলের পাউচ দুর্গতদের না দিয়ে অবহেলায় আবর্জনার মধ্যে ফেলে রেখে নষ্ট করা হচ্ছে।

এই অভিযোগ তুলে সোমবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক-সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা। এদিন বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনার মধ্যে পড়ে থাকা বস্তাবন্দি জলের পাউচ হাতে তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিধায়ক। যদিও ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, এই পাউচগুলি ত্রাণের জন্য আনা হয়নি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের সময় আনা হয়েছিল। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়াতেই সংলগ্ন এলাকায় ফেলে রাখা হয়েছে।

বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির কথায়, “নোংরার মধ্যে জলের পাউচ পড়ে আছে। শ’য়ে শ’য়ে বস্তা জলের পাউচ ফেলে রেখেছে নোংরায়। দুর্গতরা জল পাচ্ছে না, অথচ নোংরায় বস্তা ভরে জলের পাউচ পড়ে। আমি বলায় প্রশাসন বলছে স্টকে রাখা আছে। এটা স্টকে রাখার জায়গা? বিডিও খেয়ে দেখান তাহলে।”

পাল্টা জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশিস ঘোষ বলেন, “এলাকায় ওনারা বেরোন না, তাই কিছুই জানেন না। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এসব আনা হয়েছিল। সেই থেকে উদ্বৃত্ত এই জল। এখানে দামোদর, শালি নদীর জল যেখানে উঠেছে, সেখানে কীভাবে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে সেটা এলাকার মানুষই বলবেন।”

গত সপ্তাহে নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টি এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর, পাণ্ডে পাড়া-সহ বিভিন্ন গ্রামে। বন্যার জল ঢুকে কৃষিজমির পাশাপাশি ঘরবাড়িও ডুবেছে। এদিন বন্যা দুর্গতদের যথাযথভাবে ত্রাণ দেওয়ার দাবিতে সোনামুখী বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে যান সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি-সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা।

সেখান থেকে ফেরার পথেই বিডিও অফিস সংলগ্ন একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে বস্তা বস্তা জলের পাউচ পড়ে থাকতে দেখেন এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা।