হুগলি: সিস্টেমকে কালিমালিপ্ত করতেই মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস বিতর্কে এবার হুগলিতে এসে মুখ খুললেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, ঘটনাটি অন্তর্ঘাত এবং যেখান থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে সেটা ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানালেন তিনি। পর্ষদ সভাপতির কথায়, “প্রশ্ন ফাঁসের কোনও বিষয় নেই। দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে প্রশ্নপত্রের কয়েকটি পাতার ছবি দিয়ে প্ররোচনা দিয়েছে মাত্র।” নাম না করে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ বলেন, “যদি কেউ বলে সকাল থেকে প্রশ্নপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার দায় আমার নয়। সিস্টেমকে কালিমালিপ্ত করতেই এটা করা হয়েছে। যারা এই ধরনের অন্তর্ঘাতের পক্ষে, যারা সিস্টেমকে কালিমালিপ্ত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে,তাদের জন্য আমার কোনও সহানুভূতি নেই। আমরা সম্ভাবনাময় জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। আমরা সেগুলো জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।” এই অন্তর্ঘাতের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, সেই বিষয়টি জেলা প্রশাসন নিশ্চিত করলেই প্রকাশ্যে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান হয়ে এদিন হুগলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিদর্শনে আসেন মধ্যষশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। হুগলির বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “দু’দিনে ৭টি জেলার ১০-১২টি স্কুলে গিয়েছি। পরীক্ষা কেমন হচ্ছে দেখতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। ঘুরে দেখলাম, ব্যবস্থাপনা পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে করা হয়েছে।”
যদিও এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এপ্রসঙ্গে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে এবং ভোটার সংখ্যা বাড়ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। পর্ষদ সভাপতি বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কেন কমেছে এ নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষার সময় আর এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।” তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও বিভিন্ন জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।