কলকাতা: আজও দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় ভারী বৃৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। আজ মুষুলধারে বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবলভাবে সক্রিয়। আর সেই কারণেই আজ এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদী প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
এমনিতেই জেলাগুলিতে চাষের জমি জলের তলায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে চাষিদের। কাঁচা রাস্তা, মাটির বাঁধেরও প্রবল ক্ষতি হচ্ছে গ্রামগুলিতে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি মুর্শিদাবাদ এই সমস্ত জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। তবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টি হবে হালকা থেকে মাঝারি। আগামী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার খুব একটা বেশি পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, আগামী শনিবার নতুন করে আবারও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত পরের দিন অর্থাত্ ২৬ তারিখ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবারও বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে রয়েছে। ধীরে ধীরে উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোচ্ছে। এই নিম্নচাপের ফলে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি জেলা পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানেরও পরিস্থিতি হবে একই রকম।
কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে সরেছে নিম্নচাপ। ফলে কলকাতায় খুব বেশি বৃষ্টি হবে না। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে কলকাতায়। আজ, বুধবার কলকাতায় মেঘলা আকাশ থাকবে। বৃষ্টি কমবে। আগামিকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।
গত দুদিনের টানা বর্ষণে জল জমেছে শহরের একাধিক জায়গায়। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল থই থই। ঠনঠনিয়া, ক্য়ামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি এলাকা জলমগ্ন। সোমবার কার্যত সারা দিনই পাম্প চালিয়ে জল গঙ্গায় ফেলা হয়েছে। গঙ্গায় জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে। শহরের নিকাশি নালার জল কীভাবে গঙ্গা দিয়ে বের করবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে কলকাতা পুর প্রশাসন।
গত দুদিনে শহরে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে ধাপাতে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তোপসিয়া। উল্টোডাঙা তৃতীয় স্থানে। এদিকে, গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করে। লকগেটগুলি বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। জল যন্ত্রণা বাড়ে। দ্রুত জল বেরনোর পথ বাতলাতে হবে পুরকর্তাদেরই। তা না হলে, শহরে ডেঙ্গির হাতছানি ভয় ধরাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্তাদের মনে।