হাওড়া: ভুয়ো ভোটার দিয়ে অবাধে চলছে ভোটপ্রদান। সব জেনেও বাধা দেননি কেউ। শনিবার, বুথ পরিদর্শনে বেরিয়ে আচমকাই ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ পান উত্তর হাওড়ার বিজেপি (BJP) প্রার্থী উমেশ বারুই। তড়িঘড়ি পৌঁছন পাঞ্চগড়ার প্যারাডাইস পাবলিক সেকেন্ডারি স্কুলের বুথে। সেখানেই মহিলাদের দিয়ে ভুয়ো ভোট করানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। আটক করা হয় দুই মহিলাকে।
গেরুয়া শিবিরের (BJP) অভিযোগ, শনিবার সকালে, প্রায় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন মহিলাকে দিয়ে ভুয়ো ভোট করানোর চেষ্টা করে তৃণমূল (TMC)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখ এড়িয়ে তিন-চারজন মহিলাকে স্কুলবাড়ির ছাদ দিয়ে নীচে নামিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। সব জেনে বুঝেও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসাররাও এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। বিজেপির কর্মী সমর্থকদের অভিযোগের জেরে পুলিশ এসে দুই মহিলাকে আটক করে। ঘটনাস্থলে আসেন দুই মহিলা কনস্টেবলও। প্রায় ঘণ্টাখানেকের ম্যারাথন জিজ্ঞাসার পর ওই দুই মহিলার থেকে নকল ভোটার কার্ড (Fake Voter Card) বের হয়। বিজেপির আরও অভিযোগ, আটক হওয়া ওই দুজন মহিলা ছাড়াও আরও ভুয়ো ভোটার ছিলেন, যাঁরা প্রত্যেকেই মহিলা। কিন্তু তাঁরা পালিয়ে যান। এরপরেই, পুলিশের জেরার মুখে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসাররা। সব জানা সত্ত্বেও কেন তাঁরা নীরব ছিলেন, কী করেই বা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের চোখ এড়িয়ে ওই মহিলারা ভোট দিলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির আরও অভিযোগ, হয় ভয় দেখিয়ে নয় টাকা দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদের হাত করেছে তৃণমূল। যার জেরেই টুঁ শব্দটি করেননি কেউ। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
যদিও, বুথে রিগিং-এর ঘটনা অস্বীকার করেছে শাসক শিবির (TMC)। ঘাসফুলের দাবি, ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোট করানো তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। এর প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট বুথের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। উল্লেখ্য, শুধু হাওড়াতেই নয়, কলকাতার টালিগঞ্জের ব্রহ্মপুরের ২৯১ নম্বর বুথে ভুয়ো ভোটার পাকড়াও করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: ইভিএমে ‘ফুলের’ উপর লিউকোপ্লাস্ট! হতভম্ব ভোটার