পশ্চিমবঙ্গ: নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর একেবারে দোরগোড়ায় এসে বাংলার মুড বোঝার জন্য ফের রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে TV9 বাংলা ও পোলস্ট্র্যাট। ১০ হাজার মানুষের মধ্যে এই সমীক্ষা চালিয়ে বাংলার মুড বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। তাতে একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল বাংলায় মোদীর মেগা সমাবেশে বিজেপির কতটা লাভ হবে? এই প্রশ্নের জবাবে ৪১ শতাংশ মানুষ হ্যাঁ সূচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ১১.৭ শতাংশ মনে করছেন, মোদীর বঙ্গ সভায় অল্প বিস্তর ভাবে লাভবান হবে বিজেপি। অন্যদিকে ৩৭.৪ শতাংশ মানুষ বলছেন মোদীর সভার ফলে কোনও লাভ হবে না গেরুয়া শিবিরের। ৯.৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন এ বিষয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, বাংলাকে পাখির চোখ করে ঘনঘন রাজ্যের নানা জায়গায় সভা করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একের পর এক সভা করার পরিকল্পনা নিয়ে বাংলায় (West Bengal) বারবার আসছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এ বারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে মোট ২৪ টি সভা করানোর প্ল্যান রয়েছে রাজ্য বিজেপির। যার মধ্যে কয়েকটি সভা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ১৮ মার্চ পুরুলিয়ায় সভা দিয়ে রাজ্যে প্রচারের ঝড় তুলেছেন নমো। এর পর ২০ মার্চ খড়্গপুর, ২২ মার্চ বাঁকুড়ায়, ২৪ মার্চ কাঁথিতে সভা করলেন মোদী। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃতীয় দফার সভার পরে প্রচারে আরও জোর দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, একটি বিষয় পরিষ্কার, প্রধানমন্ত্রীর এই সভার সম্ভাব্য তালিকা নজিরবিহীন। কারণ, এই প্রথম দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী একটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে এতগুলি সভা করতে চলেছেন। এর আগে এহেন রেকর্ডের নজির নেই। কৌশলগত দিক থেকে সভার জায়গাগুলিকে এমনভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে যাতে তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চাকে চাপে ফেলা যায়।
প্রতিটি সভায় মোদীর বক্তব্যের কমন কিছু কথা যদি তুলে ধরা যায়, তিনি বারংবার দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর ভাষণের বড় অংশ জুড়ে থেকেছে মমতা ও অভিষেককে জোড়া আক্রমণ। সেই সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যে এক সরকার থাকার উপকারিতা সম্পর্কে বাংলার ভোটারদের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ওপিনিয়ন পোলে দেওয়া মানুষের এই প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে তৃণমূল মনে করছে, মোদীর সভা বাংলার ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তাদের যুক্তি, এটা দিল্লির ভোট নয়, বাংলার ভোট। আর এখানে সবচেয়ে বড় মুখ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, জল্পনা উস্কে দিলেন শিশির অধিকারী
প্রসঙ্গত, বলে রাখা প্রয়োজন, ওপিনিয়ন পোলের মাধ্যমে কেবল একটা আভাস বা অনুমান পাওয়া যায় যে ভোটের ফলাফল কেমন হতে পারে। তবে এটাই যে হতে চলেছে তা কখনওই বলা যাবে না। কারণ, বর্তমান রাজনৈতিক আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এই ওপিনিয়ন পোল TV9 বাংলা প্রকাশ করতে চলেছে। রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে পরিবেশ-পরিস্থিতি যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে। এর সঙ্গে বাস্তবের ফলাফলের ফারাক কয়েক শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।