হুগলি: ভ্যানিশিং কালি (Vanishing Ink) দিয়ে চেক জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত তিন। মাথায় হাত ডানকুনির ব্যবসায়ীর। প্রতারিত ডানকুনির ব্যবসায়ী বালির বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাধুখাঁ অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা করেন। ব্যবসার প্রয়োজনেই লোন নিতে বুধবার টাটা ফিনান্স কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কোম্পানির তরফে সুজয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি আসেন গৌরাঙ্গবাবুর সঙ্গে দেখা করতে। সুজয়বাবু কয়েকটি ফর্মে সই করিয়ে দুটি চেক নেন। সেই চেকটি নিজে ফিলাপ করেন সুজয়বাবু। সইয়ের সময়, গৌরাঙ্গবাবু নিজের পেনেই সই করেন। দুটি চেকের একটি ছিল ক্যানসেল চেক, অন্যটি প্রসেসিং চার্জের চেক।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় এটিএম লুঠ, নাটকীয় পন্থায় পাকড়াও তিন দুষ্কৃতী
বৃহস্পতিবার, গৌরাঙ্গবাবুর ফোনে মেসেজ আসে যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে একটি চেকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা ও অন্য চেকে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। মেসেজ আসতেই গৌরাঙ্গবাবু রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ডানকুনি ব্রাঞ্চে গিয়ে খোঁজ নেন। জানতে পারেন রাজকুমার রায় নামে একজন ৪৮ হাজার টাকা তুলে নেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। অন্যদিকে, ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা চলে যায় মধ্য প্রদেশের সাক্ষী গুপ্তর নামে। মুহূর্তেই গৌরাঙ্গবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই ডানকুনি থানা ও চন্দননগর সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৌরাঙ্গবাবু।
আরও পড়ুন: কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়িতে তুলে মারধরের পর ২১ হাজার টাকা লুঠ কলকাতায়
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতারণার খবর পেয়েই জোর কদমে তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেট, সাইবার সেল ও ডানকুনি থানার পুলিশ। প্রতারকের আইকার্ড, মোবাইল নম্বর, ছবি এবং ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, এই প্রতারক দলটির পেছনে একটি বড় জালিয়াতির দল রয়েছে। ভ্যানিশিং কালির (Vanishing Ink) ব্যবহার করে লোনদাতা সংস্থার নাম করে প্রতারণা করা হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার না করা গেলেও খুব দ্রুত সমস্ত টাকা উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।