হাওড়া: ডোমজুড় (Domjur) বিডিও অফিসে মনোনয়ন দিতে গিয়ে আইএসএফ (ISF) কর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠল। কোনও কারণ ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওই আইএসএফ কর্মীকে থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ডোমজুড় বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে হাজির হয়। এরপরই এক আইএসএফ প্রার্থীকে আটক করে ডোমজুড় থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের কর্মীদের মারধর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ডোমজুড় বিডিও অফিসে থাকা বাঁকড়া ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি তথা হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য সামসুর আলম তরফদার বলেন, “এদিন আমাদের দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছিলেন। নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিতে আসা এক মহিলার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি হঠাৎ বিডিও অফিসে ঢুকে পড়েন। উনি কে তা আমাদের লোকজন জানতে চাইলে, ওই ব্যক্তি আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হন। মারধর শুরু করেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতি বেধে যায়। আমরা ওই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে দিই। আমি ছাড়াতে গেলে উল্টে ওই ব্যক্তি আমার নামেই দোষ দিতে থাকেন। বলেন, আমিই নাকি ওনাকে মারধর করেছি। পরে বিডিও অফিসে উপস্থিত পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।”
যদিও ডোমজুড় ব্লকের আইএসএফের আহ্বায়ক মহিম শেখের দাবি, “তৃণমূল যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, সেই ব্যক্তি আমাদের আইএসএফের প্রার্থী জিয়াউল হক মল্লিক। তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের প্রার্থী জিয়াউল এদিন সকালে যখন বিডিও অফিসে মনোনয়ন দিতে যান তখনই তাঁকে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করেন। পুলিশ ৩ ঘণ্টা জিয়াউলকে থানায় নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে। পরে যদিও পুলিশের সাহায্যেই জিয়াউল বাঁকড়া ২ নম্বর অঞ্চলের ৯৬ নম্বর বুথে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন।”
আইএসএফ হাওড়া জেলা সহ সম্পাদক ইমরান খান জানান, গোটা বিষয়টি তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। ইতিমধ্যেই হাওড়া পুলিশ কমিশনারকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। অবশেষে শেষ মুহূর্তে পুলিশের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন আইএসএফ প্রার্থী জিয়ারুল হক মল্লিক।