আকাশ ছোঁয়া ‘তরল সোনা’, বন্ধ ৯০ শতাংশ ট্রলার, অবস্থান বিক্ষোভের ডাক মৎস্যজীবী সংগঠনের

tista roychowdhury |

Feb 21, 2021 | 10:42 PM

উত্তরোত্তর জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার ট্রলার ও ট্রলি মালিকদের প্রায় ৯০ শতাংশ মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন।

আকাশ ছোঁয়া ‘তরল সোনা’, বন্ধ ৯০ শতাংশ ট্রলার, অবস্থান বিক্ষোভের ডাক মৎস্যজীবী সংগঠনের
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রোজ বাড়ছে জ্বালানির দাম (Price Hike)। ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা, রাজ্যে এবার শতক ছুঁতে পারে জ্বালানির দাম। করোনা কালে, লকডাউন চলাকালীন ডিজেলের দাম ছিল -প্রায় ৭০ টাকা। কিন্তু, গত কয়েকদিনে আচমকাই বেড়েছে ডিজেলের দাম (Price Hike)। রাজ্যে আজ ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৮৪.৫১ টাকা। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মৎসজীবী ও ট্রলির মালিকরা। করোনা আবহে এমনিতেই বন্ধ ছিল মাছের রফতানি, এবার জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির জেরে প্রায় পুরোপুরি  বন্ধ হতে পারে সামুদ্রিক মাছের রফতানি। ফলে বাড়তে পারে চাহিদা। পাল্লা দিয়ে দামও।

উত্তরোত্তর জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে (Price Hike) জেরবার ট্রলার ও ট্রলি মালিকদের প্রায় ৯০ শতাংশ মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন। সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, রায়দিঘি, সাগর, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের প্রায় চার হাজার ট্রলার এখন বন্ধ। এর ফলে মৎসজীবীরাও অনেকেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন।

মৎসজীবী সংগঠনগুলির অভিযোগ, প্রত্যেক ট্রিপে জ্বালানী তেল, বরফ সহ মৎস্যজীবীদের খাবার নিয়ে প্রত্যেক ট্রলারে খরচ পড়ে যায় প্রায় দেড়লক্ষ টাকা। ট্রলি ফিসিংয়ে সেই খরচ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় দু’লক্ষ টাকায়। লাভ থাকলেও বেড়েছে খরচ। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানির দাম। তেলের উপর বসানো শুল্ক ছাড়ের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।

এর প্রতিবাদে রাজ্যের প্রায় সমস্ত মৎস্যজীবী সংগঠন এক জোট হয়ে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রানি রাসমনি রোডে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে নবান্ন ও রাজভবনের দারস্থ হবেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: ভোটমুখী বঙ্গে মধ্যরাত থেকে কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, ঘোষণা রাজ্যের

গত ১৫ জুন মরশুমের শুরু থেকে জালে ইলিশ না উঠলেও সামুদ্রিক চিংড়ি, পমফ্রেট, ভোলা, ম্যাগরেল সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ প্রচুর পরিমাণে উঠে আসে। এই সামুদ্রিক মাছের বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হত। লাভও হত ভালোই। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে রফতানিও বন্ধ ছিল। ফলে, এখন দেশীয় বাজারের চাহিদার উপরেই নির্ভর করছে দামের ওঠানামা।

বছর তিনেক আগে পর্যন্ত মরশুমের সময়ে খুব কম করে হলেও প্রত্যেক দিন ১০০টন করে ইলিশ ধরে আনত ট্রলার। প্রত্যেক মরশুমে একজন করে মৎস্যজীবী প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার বেশি আয় করতেন। আর ট্রলার মালিকদের লাভ হত প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। এখন সেসবই অতীত। আগামী নিয়েই চিন্তায় দিন কাটছে মৎসজীবীদের।

উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের অংশের সেস থেকে পেট্রোপণ্যের দামে ১ টাকা ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। জ্বালানি তেলের দাম (Price Hike) যখন সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই, তখন লিটার প্রতি ১ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল সরকার। রবিবার ভার্চুয়াল সংবাদিক বৈঠকে অমিত মিত্রের ঘোষণা, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার পর থেকে রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি এক টাকা করে কমাবে রাজ্য সরকার।

 

 

Next Article