Canning: জমিতে পড়ে মহিলার গলাকাটা দেহ, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Feb 11, 2023 | 10:19 PM

দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত মৃতদেহ তোলা যাবে না বলে পুলিশের বিরুদ্ধেই স্লোগান দেয় গ্রামবাসী। উত্তেজনা সামাল দিতে গ্রামে পৌঁছন ক্যানিংয়ের SDPO দিবাকর দাস ও থানার IC সৌগত ঘোষ।

Canning: জমিতে পড়ে মহিলার গলাকাটা দেহ, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর
প্রতীকি ছবি।

Follow Us

ক্যানিং: চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল মহিলার গলাকাটা দেহ। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রামে। ওই মহিলা গ্রামেরই বাসিন্দা এবং তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবার সহ প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুচিত্রা মণ্ডল (৫৩)। ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সুচিত্রা মণ্ডলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। কে বা কারা তাঁকে খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সুচিত্রা মণ্ডল এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। এদিন সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে আলুক্ষেতে জল দিতে গিয়েছিলেন। ঘণ্টা খানেক পর মা-কে খুঁজতে তাঁর ছেলে চাষের জমিতে যান এবং দেখেন, সেখানেগলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুচিত্রাদেবী। এরপর তিনিই গ্রামের সকলকে খবর দেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যদিও দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত মৃতদেহ তোলা যাবে না বলে পুলিশের বিরুদ্ধেই স্লোগান দেয় গ্রামবাসী। উত্তেজনা সামাল দিতে গ্রামে পৌঁছন ক্যানিংয়ের SDPO দিবাকর দাস ও থানার IC সৌগত ঘোষ। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দেন তাঁরা। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে সুচিত্রাদেবীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। কে বা কারা, কেন সুচিত্রাদেবীকে খুন করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন SDPO।

রাজনৈতিক কারণেই সুচিত্রাদেবী খুন হয়েছেন বলে তাঁর ছেলে ও পরিবার সদস্যদের দাবি। সুচিত্রাদেবী দেওর তথা প্রাক্তন সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য কাশিনাথ মণ্ডল এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এখানে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। বৌদি তৃণমূল কংগ্রেসের মাদার গোষ্ঠীর সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত। তাদের বিপরীত গোষ্ঠীর লোকেরাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাঁকে খুন করেছে।” এব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Next Article