কাঠমাণ্ডু: সকালেই খোঁজ মিলেছিল দুর্ঘটনাস্থলের। ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল রবিবার থেকে নিখোঁজ থাকা নেপালের ওই যাত্রীবাহী বিমানকে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। মৃতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে নেপালের অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের তরফে।
রবিবার সকালেই ১৯ যাত্রী সহ মোট ২২ জনকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় নেপালের তারা এয়ারলাইনের একটি বিমান নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই বিমানে ৪ ভারতীয় সহ মোট ২২ জন ছিলেন। সকাল ১০টা নাগাদ বিমানটি নেপালের পোখরা থেকে জমসমে যাচ্ছিল। জমসমে পৌঁছনোর ১৫ মিনিট আগে হঠাৎ র্যাডার থেকে উধাও হয়ে যায়। জমসম বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কোনও খোঁজ মেলেনি ওই বিমানের।
এ দিন সকালেই নেপালের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, বিমানের ক্র্যাশ সাইটের খোঁজ মিলেছে। মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামের কাছে থাসাং-২ -র সানোস্বারেতে বিমানটি ভেঙে টুকরো টুকরো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। গতকাল থকে উদ্ধারকাজ শুরু করা হলেও, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এ দিন সকাল থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ বলেন, “এখনও অবধি মোট ১৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে। আজও আবহাওয়া খুব খারাপ রয়েছে, তবে কোনওমতে আমরা উদ্ধারকারী দলগুলিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনও অবধি অন্য কোনও বিমানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।”
কানাডার তৈরি ওই বিমানটিকে জমসমের মুস্তাংয়ের কাছেই শেষবার দেখা গিয়েছিল। ধৌলাগিরি পর্বতের দিকে বাঁক নিতেই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায়। নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রবিবারই পোখরা ও মুস্তাং থেকে দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয় নিখোঁজ বিমানটিকে খুঁজে বের করার জন্য। ধৌলগিরি পর্বতের আশেপাশের বাসিন্দারাও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।