মেক্সিকো: শুধুই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে প্রতিহিংসার অন্য এক গল্প? মেক্সিকোয় সামরিক হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘিরে উঠছে এমনই প্রশ্ন। শুক্রবারই মেক্সিকোর উত্তরে অবস্থিত সিনালোয়ায় ভেঙে পড়ে ব্ল্যাক হক মিলিটারি হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মারা যান ১৪ জন, গুরুতর আহত হয়েছেন ১ জন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হলেও, যে দিন মেক্সিকোর অন্যতম ‘ড্রাগ লর্ড’ গ্রেফতার হলেন, সেইদিনই সামরিক কপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনাকে কাকতালীয় ভাবতে নারাজ অনেকেই।
মেক্সিকোর নৌসেনার তরফে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার সময়ে হেলিকপ্টারে মোট ১৫ জন যাত্রী ছিলেন, এদের মধ্য়ে কেবল একজনই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। সিনালোয়ায় অভিযান চলাকালীন এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।”
তবে সেনার বিবৃতিতে কী অভিযান চলছিল, হেলিকপ্টারের যাত্রীদের মধ্যে সকলেই সেনাকর্মী ছিলেন কি না, সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবারই সিনলোয়া শহরের অপর প্রান্ত থেকে সে দেশের নৌসেনা কুখ্যাত মাদক পাচারকারী রাফায়েল কারো কুইটেরোকে গ্রেফতার করে। ১৯৮৫ সালে এক মার্কিন এজেন্টকে নৃশংস অত্যাচার ও খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মেক্সিকোর মাদক পাচারকারীদের প্রধানকে গ্রেফতারের দিনই এই দুর্ঘটনা ঘটায় এবং তা নিয়ে সেনাবাহিনীর রাক-ঢাকে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। যদিও নৌসেনার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ড্রাগ লর্ড রাফায়েল কারোর গ্রেফতারির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই।
১৯৮০-র দশকে উত্তর আমেরিকার সবথেকে বড় ও শক্তিশালী মাদক পাচারকারী সংগঠনের প্রধান ছিলেন রাফায়েল। মার্কিন বাহিনীও বহু বছর ধরে তাঁকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। মোটা অঙ্কের পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁর মাথার উপরে। কিন্তু প্রতিবারই চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেত এই মাফিয়া প্রধান।