তাইপেই: আবারও প্রকট চিন-তাইওয়ান (China Taiwan) সংঘাত। একটি-দুটি নয়, ২০ টি চিনা এয়ারক্রাফট (Aircraft) ঢুকে গেল চিনের আকাশসীমা ভেদ করে। শনিবার তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে প্রবেশ করে ওই বিমানগুলি। এ দিন তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের (Taipei) তরফ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার তাইওয়ানের আকাশসীমা ভেদ করে প্রবেশ করেছে চিনা যুদ্ধবিমান (Fighter Jet)। এবার ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
শনিবারের এই ঘটনার আগে পরপর ৩৮ টি বিমান প্রবেশ করতে দেখা যায় ওই অঞ্চলে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে শুক্রবার ছিল চিনের ন্যাশনাল ডে। আর ওই দিন তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে চিনের ২২টি ফাইটার জেট, দুটি বম্বার ও একটি অ্যান্ট-সাবমেরিন এয়ারক্রাফট। পরে শুক্রবারেই ফের ১৩টি ফাইটার জেট পাঠায় চিন। রাতের অন্ধকারেও বিমান পাঠাতে ছাড়েনি চিন।
শুধু ভারতে সীমান্তে নয়, চিনের আগ্রাসী নীতি তারা অনেক দেশের ওপরেই প্রয়োগ করে থাকে, যা নিয়ে সমালোচনা চলছে বিশ্বের অনেক দেশেই। আর তাইওয়ানকে অধিকারে রাখতে বরাবরই উদ্যোগী চিন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বিদেশি শক্তির সঙ্গে সংঘাতও রয়েছে বেজিং-এর। গত জুন মাসে তাইওয়ানের আকাশ সীমায় পরপর ওড়ানো হয় ২৮ টি যুদ্ধবিমান। একসঙ্গে এতগুলি যুদ্ধবিমান ওড়ানোর নজির চিনের সাম্প্রতিককালে ছিল না। তবে এবার পরপর একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল বেশ কয়েকবার।
জুন মাসেও তাইওয়ানের আকাশসীমার মধ্যে উড়ে যায় একের পর এক যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে অনেকগুলি বোমারু বিমানও ছিল। সে বার অনুপ্রবেশ করা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ছিল ১৪টি জে-১৬, ছয়টি জে-১১ যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু বোমা নিক্ষেপে সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান। এই ঘটনার পর চিন দাবি করে, তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের কোনও দেশের নাক গলানো তারা পছন্দ করছে না। চিনের বিরুদ্ধে অশুভ আঁতাত চলছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
চিন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বলেই দাবি করে। আর এই ইস্যুতেই সংঘাত দুই দেশের।
ন্যাটোর দাবি, চিন ক্রমাগত নিজের পারমাণবিক শক্তির বিস্তার ঘটাচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার পথে বেজিং হাঁটছে বলেও উল্লেখ করেছে ন্যাটো। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, তাঁরা চিনের সঙ্গে কোনও ঠাণ্ডা যুদ্ধের পথে হাঁটতে চাইছে না। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের দাবি, সামরিক ক্ষেত্রে ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ন্যাটোকে ছুঁয়ে ফেলেছে চিন।
আরও পড়ুন: Covishield: ‘আমি তো কোভিশিল্ড নিয়েই বেঁচেবর্তে আছি,’ মন্তব্য রাষ্ট্রসংঘের সভাপতি আবদুল্লা শহিদের