বিশ্ব: তিনি নিজেও ভারতের তৈরি করোনা টিকাই নিয়েছেন। জানালেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের (UN General Assembly) নির্বাচিত সভাপতি আবদুল্লা শহিদ (Abdulla Shahid)। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে আবদুল্লা জানান তিনি ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের (Covishield) দুটো টিকাই নিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়া ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের ওপর অনেকেই নির্ভর করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতে উৎপাদিত কোভিশিল্ড নিয়ে কী বলেছেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি?
আবদুল্লা শহিদের কথায়, “ভ্যাকসিনের বিষয়ে একটি খুব প্রযুক্তিগত প্রশ্ন যা আমাকে আপনারা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি জানাচ্ছি, আমি ভারত থেকে কোভিশিল্ড পেয়েছি। আমি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছি। আমি জানি না কতগুলি দেশ কোভিশিল্ডের গ্রহণযোগ্যতা কী বলছে না বলছে, তবে বিশ্বের বহু দেশই কোভিশিল্ড পেয়েছে।”
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) এই ভ্যাকসিন তৈরি করে। আর ভারতে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India) এই টিকার উৎপাদন করছে। যার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কিছু দিন আগেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। স্বয়ং ব্রিটেন সরকার এই কোভিশিল্ড টিকাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের সে দেশে যাওয়ার পর ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করে। তবে এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতির এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
আবদুল্লা শহিদ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, উৎপাদিত যে কোনও টিকাকেই কি মান্যতা দেওয়া যায়, নাকি শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO অনুমোদিত করোনা টিকাই মান্যতা পাবে? এর প্রতিক্রিয়ায় তাঁর সহাস্য মন্তব্য, “আমি তো এখনও বেঁচেই আছি। কিন্তু আমিই নই, অন্য কেউ, কোনও চিকিৎসা জগতের মানুষ বা বিশেষজ্ঞ এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিচার করবেন।” রাষ্ট্রপুঞ্জের সভাপতি নিজে কোভিশিল্ডকে মান্যতা দেওয়ার পক্ষ নিয়েছেন, এটা স্পষ্ট।
ইতিমধ্যেই ৬ কোটি ৬০ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ ১০০টি দেশে রফতানি করেছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে মালদ্বীপ, যেখানকার নাগরিক হিসেবে টিকা পেয়েছেন আবদুল শাহিদ। তিনি সে দেশের বিদেশমন্ত্রীও বটে। সেই প্রথম বিশ্বের দেশে ভারতে উৎপাদিত ভ্যাকসিন গত জানুয়ারি মাসেই রফতানি করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে শুধু মালদ্বীপে ৩ লক্ষ ১২ হাজার কোভিশিল্ড গিয়েছে বলে খবর।
যদিও ব্রিটেন সরকার প্রাথমিকভাবে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতের তীব্র সমালোচনার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর তারা আবার নতুন নির্দেশিকায় সংশোধন আনে এবং ভারতীয় ভ্যাকসিনটিকে অন্তর্ভুক্ত করে।