কাবুল: তল্লাশির নামে ঢোকা যাবে না সাধারণ মানুষের বাড়িতে, কড়া নির্দেশ তালিব প্রধানমন্ত্রীর। তালিবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ার পরই তালিবানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেন যে, এ বার থেকে তল্লাশি অভিযানের নামে তালিব যোদ্ধারা যে কারোর বাড়িতে যেমন প্রবেশ করতে পারবে না. তেমনই ইচ্ছে মতো গৃহস্থের বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও লুঠ করে আনতে পারবে না।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দেড় মাস কেটে গেলেও দেশজুড়ে অচলাবস্থা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি নতুন তালিবান সরকার। এরইমধ্যে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ছে তালিব যোদ্ধাদের নামে। সূত্রের খবর, প্রধামন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে যে, তালিবান যোদ্ধারা ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র লুঠ করছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের এই ধরনের অভিযোগ পেয়েই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার ডিক্রি বা ফতেয়া জারি করলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে তালিবানি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বাড়ি তল্লাশি, গাড়ি দখল, এমনকি বাড়ি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানের নামেই এই লুঠতরাজ চালাচ্ছে তালিবানি যোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবারই তালিবানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দজাদা নির্দেশ দেন, এ বার থেকে কাবুলে কোনও বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে না তালিবান যোদ্ধারা। জোর করে কারোর বাড়িতেও ঢুকতে পারবেন না তারা। যদি একান্তই কোথাও তল্লাশির প্রয়োজন পড়ে, তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা করতে হবে এবং স্থানীয় নিয়মগুলিও আধিকারিকদের অনুসরণ করতে হবে। কারোর গাড়িও দখল করে নেওয়া যাবে না।
কাবুলের জেলা প্রশাসনের তরফেও একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, অগস্ট মাসে ক্ষমতা হস্তান্তর চলাকালীন যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাদের যে বাড়িগুলি ফাঁকা পরে রয়েছে, তার মোট সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।