AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ইউনুসকে শিখন্ডি করে বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এই যুবক? বিস্ফোরক তসলিমা

Bangladesh: শেখ হাসিনার বিদায়ের পর, বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু, সরকারের সব নিয়ন্ত্রণ কি ৮৪ বছরের ইউনুসের হাতে আছে? নাকি তাঁকে শিখন্ডি করে কি, পিছন থেকে যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছে অন্য কেউ? বিতর্কিত লেখিকা, তসলিমা নাসরিনের দাবি, বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছে এক ২৮ বছর বয়সী যুবক।

Bangladesh: ইউনুসকে শিখন্ডি করে বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এই যুবক? বিস্ফোরক তসলিমা
ইউনুসকে সামনে রেখে দেশ চালাচ্ছে এই যুবক?Image Credit: Getty Images and PTI
| Updated on: Oct 01, 2024 | 7:39 AM
Share

ঢাকা: শেখ হাসিনার বিদায়ের পর, বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু, সরকারের সব নিয়ন্ত্রণ কি ৮৪ বছরের ইউনুসের হাতে আছে? নাকি তাঁকে শিখন্ডি করে কি, পিছন থেকে যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছে অন্য কেউ? ইউনুস সরকারের কথায়-কাজে মিল থাকছে না। তিনি সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, বাস্তবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, হুমকি দেওয়া চলছেই। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই মৌলবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি এসেছে। তাই ইউনুসের হাতে যে নিয়ন্ত্রণ নেই, তা স্পষ্ট। তাহলে বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছে কে? হাসিনার পতনের পর, তিনি স্পষ্ট আঙুল তুলেছিলেন আমেরিকার দিকে। কারও মতে, বাংলাদেশের বিপ্লবের পিছনে চিনের হাত থাকতে পারে। তাহলে কি কোনও বিদেশি শক্তির কথাতেই এখন ওঠাবসা করছে বাংলাদেশ সরকার? বিতর্কিত লেখিকা, তসলিমা নাসরিনের অবশ্য দাবি, বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছে এক ২৮ বছর বয়সী যুবক।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্টে এই দাবি করেছেন তসলিমা। তিনি লিখেছেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ চালাচ্ছে একটা ২৮ বছর বয়সী ছেলে, তার নাম মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। মহম্মদ ইউনুসের বিশেষ সহযোগী সে। ৮৪ বছর বয়সের ইউনুস জরাগ্রস্ত। সুতরাং খুব স্বাভাবিক যে তাঁর বিশেষ সহযোগীই ইউনুসের হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছে।” কে এই মাহফুজ আলম? ২০১৫-১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে এক ছাত্র সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। যে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংগঠনের নামে বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন চলেছে, সেই সংগঠনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। গত ২৮ অগস্ট তাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক দায়িত্ব পালনে, প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন তিনি।

তসলিমার দাবি, মাহফুজ আলম বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী নয়। তিনি ইসলামপন্থী মৌলবাদী। ‘হিজবুত তাহরীর’ নামে এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সে যুক্ত বলে অভিযোগ তসলিমার। বিতর্কিত লেখিকা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে যদিও মাহফুজ ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই বলে দাবি করে। তবে, এটা তাদের কৌশল বলেই মনে করেন তসলিমা। তিনি লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের শিবির পরিচয় গোপন করে শুধু ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে সামনে এসেছিল। এই সময় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা, কোনও কারণ নেই, যে, জানিয়ে দেবে তারা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সম্ভবত ভেবেছে, একবারেই জানাবে, তাদের খেলাফত স্বপ্ন সফল করার পর।”