Austria: আর্থিক চাপে বন্ধ বিশ্বের প্রাচীনতম খবরের কাগজ, কিনে নেবেন ইলন মাস্ক?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 01, 2023 | 9:41 PM

320 year old newspaper shuts print edition: মুদ্রন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওযার আগে বিভিন্নভাবে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল সংবাদপত্রটি। ৬২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। এমনকি, সম্পাদকীয় বিভাগেরও ২০জন সদস্যকে সরিয়ে দিতে হয়েছিল।

Austria: আর্থিক চাপে বন্ধ বিশ্বের প্রাচীনতম খবরের কাগজ, কিনে নেবেন ইলন মাস্ক?
শেষবার কাগজের ব়্যাকে উইনার জেইতুং
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ভিয়েনা: ক্রমে খবরের কাগজের জায়গা গ্রাস করছে ডিজিটাল নিউজ। বিশেষ করে কোভিড মহামারি বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে যেভাবে ধস নামিয়েছে, তাতে সংবাদপত্র ছাপার খরচ জোগার করতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের বহু খ্যাতনামা সংবাদপত্রই। এই অবস্থায়, শুক্রবার বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বের প্রাচীনতম খবরের কাগজ। ১৭০৩ সালের ৮ অগস্ট অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘উইনার জেইতুং’। লক্ষ্য ছিল কাব্যিক ভাষা ব্যবহার না করে, সরল ভাষায় সংবাদ পরিবেশন করা। ৩২০ বছরের পর, শুক্রবার (৩০ জুন), এই সংবাদপত্রটির সর্বশেষ সংস্করণ প্রকাশিত হল। আর এই সংবাদপত্র ছাপা হবে না। মূলত, আর্থিক সমস্যার কারণেই এতদিনের পুরোনো সংবাদপত্রটি মুদ্রন বব্ধ করে দেওয়া হল।

উইনার জেইতুং সংবাদপত্রের সর্বশেষ সংস্করণের প্রথম পাতায় তাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে সংবাদপত্রটি। প্রথম পাতায় লেখা হয়েছে, “১,১৬,৮৪০ দিন, ৩,৮৩৯ মাস, ৩২০ বছর, ১২ জন প্রেসিডেন্ট, ১০ জন কাইজার, ২টি প্রজাতন্ত্র, ১টি সংবাদপত্র।” অর্থাৎ, ১,১৬,৮৪০ দিন বা ৩,৮৩৯ মাস বা ৩২০ বছর ধরে, ২টি প্রজাতন্ত্রের অধীনে এবং ১২ জন প্রেসিডেন্ট ও ১০ জন কাইজারের সময় ধরে চলেছে এই সংবাদপত্র। প্রথমে অবশ্য এর নাম ছিল ‘উইনেরিশেস ডায়েরিয়াম’, পরে নাম বদলানো হয়। দেশি-বিদেশি সংবাদ, সংস্কৃতি এবং ব্যবসায়িক জগতের খবর, এবং বিভিন্ন সংবাদ বিষয়ক বিস্তৃত নিবন্ধ প্রকাশের জন্য বিশেষ খ্যাতি ছিল এই সংবাদপত্রটির।

১৭০৩-এ যাত্রা শুরু করে, থমকালো ২০২৩-এ এসে

তবে অস্ট্রিয়ায় সম্প্রতি একটি বাণিজ্যিক আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই আইন বদলের জেরেই সংবাদপত্রটি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। তবে, মুদ্রন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওযার আগে বিভিন্নভাবে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল সংবাদপত্রটি। ৬২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। এমনকি, সম্পাদকীয় বিভাগেরও ২০জন সদস্যকে সরিয়ে দিতে হয়েছিল। তারপরও সংবাদপত্রটিকে রক্ষা করা গেল না। তবে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণ বের করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংবাদপত্রটি ছাপা বন্ধ হওয়ায়, নেটিজেনদের অনেকেই হতাশ।


টুইটারে একজন জানিয়েছেন, কাগজটির সর্বশেষ মুদ্রিত সংস্করণটি তিনি ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখে দেবেন। একজন এই খবরটি জানিয়ে, বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের, টেসলা সিইও ইলন মাস্ককে ট্যাগ করেছেন। ইলন মাস্ক সংবাদপত্রটি কিনে নিয়ে, সেটিকে বাঁচাতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্ন করেছেন। অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণে পাওয়া যাবে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।

Next Article