ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরে হামলা ও বিগ্রহ ভাঙার ঘটনায় ভারতের তীব্র প্রতিবাদেই কাজ হল। অবশেষে রবিবার গ্রেফতার করা হল কমপক্ষে ৫০ জন পাকিস্তানিকে, প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে এই খবর।
গত বুধবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ভঙ্গ শহরের রহিম ইয়ার খান জেলায় একটি গণেশ মন্দিরে হামলা চালায় ১৫০ জন দুস্কৃতী। ভেঙে ফেলা হয় বিগ্রহ, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মন্দির চত্বরে। এই ঘটনা সামনে আসার পরই ভারতের তরফে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “এইধরনের হিংসা ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা পাকিস্তানে বেড়েই চলছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা উপর হামলা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেখানেই প্রশাসন চুপ করে দাড়িয়ে গোটা বিষয়টা দেখছে। হিন্দুদের উপর হামলা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে পাক প্রশাসন”। প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদকে জবাবদিহির জন্য প্রতিনিধি পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি টুইটে লেখেন, “ভঙ্গের মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি পঞ্জাবের আইজি-র সঙ্গে কথা বলেছি, দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছি। সরকারের তরফে ওই মন্দির নতুন করে গড়ে দেওয়া হবে।” পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজ়দারও জানান, পাকিস্তানের সমস্ত ধর্মীয় স্থান সুরক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনেরই। মন্দির পুনর্গঠনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
সময় গড়াতেই হিংসা ছড়ানোর আসল কারণও জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহেই আট বছরের এক হিন্দু নাবালক পাঠাগারে প্রস্রাব করে। এই ঘটনা ঘিরেই ভঙ্গ শহরে বসবাসকারী হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে। এই ঘটনার পরই মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ দেখেই অভিযুক্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে বাকিদের। আরও পড়ুন: খালি রয়েছে মাত্র ৬টি আইসিইউ বেড! ডেল্টার দাপটে ‘অসহায়’ পরিস্থিতি এই শহরে